দাবি মানার জন্য প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসতে দেখা স্বাভাবিক, তবে সেই দাবি যদি হয় বউ ফিরিয়ে দেওয়া তাহলে কিন্তু বেশ কয়েকটি ঘটনা আমাদের মনে পড়ে যায়, যার মধ্যে যুক্ত হল আরও এক ঘটনা।
সোমবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হরিণঘাটায়।
প্ল্যাকার্ড হাতে সকাল সকাল জামাই বসেছেন ধর্নায়।
শ্বশুরবাড়ির লোক আটকে রেখেছে রেজিস্ট্রি করা বউকে, দু’মাস হয়ে গেল দেখা পায়নি বউ এর। অবশেষে এই পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছে সে।
বছর ২৮ এর বাবু মল্লিক হালদারপাড়ার বাসিন্দা বছর ২৮ এর বাবু মল্লিকের সাথে সোনাখালি গ্রামের বাসিন্দা ১৮ বছরের সঙ্গীতার বিয়ে হয় গত অগস্ট মাসে। সিঁদুর দান না হলেও রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছিল তাদের মধ্যে।
যুবকের অভিযোগ, রেজিস্ট্রি বিয়ের কথা জানার পরে সঙ্গীতাকে জোর করে আটকে রাখে তার পরিবার, তবে মাঝে মধ্যে লুকিয়ে ফোনে কথা হতো তাদের মধ্যে কিন্তু সেকথা জানতে পেরে ফোন নিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গীতার থেকে তাই আর কথাও বলতে পারছে না তারা।
যুবক তাই ঝোলানো প্ল্যাকার্ডে লিখে রেখেছে , ‘আমার বউকে ফিরিয়ে দাও!’
ঘটনাটি নজরে আসতে সকাল থেকেই কৌতুহলী মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে এলাকায়।
তবে ধর্নায় বসা ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির লোকের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়েকে আটকে তারা আটকে রাখেনি, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়ায় তাকে বাধ্য হয়ে অন্য জায়গায় রাখা হয়েছে।
যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারবেন ততক্ষণ জারি থাকবে ধর্না জানিয়েছেন ওই যুবক।
এর আগেও অবশ্য এমন এক ঘটনা ঘটেছিল জলপাইগুড়িতে৷ যেখানে প্রেমিকার জন্য প্রেমিকের ধর্না বসার ঘটনায় শেষ পর্যন্ত প্রেমিকা নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন।
তার পরেও রাজ্যে আরও কয়েকটি এমন ঘটনা ঘটে এবার হরিণঘাটার এই ঘটনাও ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে গোটা এলাকায়।