কোন অশরীরী আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে! বুঝবেন কীভাবে
চিকিৎসাশাস্ত্রে ভুতের অস্তিত্ব নেই, কিন্তু ভয় বা ফোবিয়ার অস্তিত্ব আছে। কারোর উচ্চতা থেকে, কারোর জল থেকে এবং কারোর বা কুকুর থেকে ভয় হতে পারে। সেরকমই ভুত থেকেও ভয় হওয়া স্বাভাবিক। বিজ্ঞানের যুক্তি ও ভৌতিক বিশ্বাসের তর্ক দীর্ঘকালের। কিন্তু বিজ্ঞানের যুক্তি ভুতকে না মানলেও মনের অন্ধকার কোনটা যুক্তি তর্কের ধার ধারে না। তাই হরর ফিল্ম বা মুভি দেখলে বুকটা আতকে ওঠে।
আপনি কী কখনও ভুত দেখেছেন? বা অশরীরী কিছু? কিন্তু আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন অনেক সময় অশরীরীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায়, কিছু বলতে চায়, সতর্ক করতে চায়। তবে বেশীরভাগ সময় আমরা তা বুঝতে পারি না। কীভাবে বুঝবেন তা হলে –
ধ্যানের সময় ষ্পষ্ট্য অনুভূতি –
ধ্যানের সময় অশরীরী আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এই সময় মন শান্ত থাকে তাই মনোযোগ আকর্ষন করা সহজ। তাই মনোযোগ আকর্ষন করতে বিভিন্ন কাল্পনিক চরিত্র বা দৃশ্য তৈরী করতে বা বা ঘুমের মধ্যে স্বপ্নও দেখাতে পারে।
ঘরে টিভি লাইটে অস্বাভাবিকতা –
হঠাৎ ঘরের বন্ধ লাইট জ্বলে উঠতে পারে, হঠাৎ ঘুরতে পারে ফ্যানও। রিমোটে হাত না দেওয়া সত্বেও বেড়ে যেতে পারে টিভির আওয়াজ। তবে অশরীরীর সঙ্গে ইলেকট্রনিকসের সম্পর্ক অনেক সিনেমাতেও দেখেছি আমরা। তাই বলে সব কিন্তু মনগড়া নয়।
তীক্ষ্ম অনুভূতি –
অশরীরী যোগাযোগ করার সময় আমাদের অনুভূতিগুলোকে তীক্ষ্ম ও জোরালো মনে হতে পারে। অর্থাৎ কোন অবয়বকে ষ্পষ্ট্য দেখা বা অচেনা ফুলের গন্ধকে চেনা লাগা বা কোন মৃত মানুষের কথাও মনে পড়তে পারে।
ঘটতে পারে অবর্ননীয় কিছু – যুক্তির জগতে অশরীরীর জায়গা নেই। তাই যুক্তির চশমায় তা দেখা বা বোঝা অসম্ভব। এমন অনেক ঘটনা ঘটে আমাদের সঙ্গে যা বর্ননার বাইরে। টেলিপ্যাথির মাধ্যমে আমাদের মনে কোন ভাবনা ঢুকিয়ে দিতে পারে অশরীরী বা ঢুকিয়ে দিতে পারে ভয়ঙ্কর ভাবনাও।
শরীরে হঠাৎ জাগতে পারে শিহরন –
হঠাৎই শিরদাড়ায় বয়ে যেতে পারেন ঠান্ডা স্রোত। কানের পাশে চলতে পারে অজানা ফিসফিস। বুকের ভিতরে মনে হতে পারে খালি ভাব। আপনার আশেপাশে অশরীরী উপস্থিতি শরীরে শিহরন জাগাতে পারে। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে পারে অশরীরীর উপস্থিতির কারন।