পৃথিবীতে এখনও মেয়েদের ইচ্ছা দমিয়ে রাখা হয়, কথা শুনের চলার দায়বদ্ধ মেয়েরা, অনেকেরই ধারণা এমন, আধুনিক যুগেও মেয়েদের স্বপ্নের দাম দেয়না অনেকেই, এমনকি তার পরিবারও অনেক সময় তার স্বপ্নের শত্রু হয়ে ওঠে। এবার এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল কাবুল। যেখানে বাড়ির অমতে কাজ করায় খুবলে নেওয়া হতে মেয়ের চোখ। যাতে দুচোখ ভরা স্বপ্নে আর ডানা মেলে উড়তে না পারে মেয়ে।
পুরুষতন্ত্রের দম্ভ, অহং, অন্ধকারকে আলো বাড়িয়ে তোলে, পুরুষতন্ত্র সমাজের মেয়েদের উপর সবসময় শক্তি প্রর্দশন করেছে।
যদিও বিশ্বের সর্বত্র এমন নয়। অনেক দেশ, অনেক জায়গায় দেখা যায় যেখানে মেয়েদের ধারণা, চিন্তাভাবনাকে সম্মান করা হয়।
তবে আফগানিস্থানে মেয়েদের অবস্থা আজও শোচনীয়, সেখানে শিক্ষা অর্জন করাটাই মেয়েদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার।
আফগানিস্থানের কাবুলে ৩৩ বছরের খতেরা চাকরি পেয়েছিল পুলিশে, ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখেছিল নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। কিন্তু তাঁর পরিবার তার পাশে দাড়ায়নি, তার বাবা কখনোই সমর্থন করেননি মেয়েকে। তবে পরিবারের কেউ তাকে সাপোর্ট না করলেও পরিবারের অমতেই চাকরি করতে গিয়েছিলেন ।
সেইজন্য তাকে বাড়িতে অনেক অত্যাচারের সম্মুখীনও হতে হয়।শেষ পর্যন্ত অতিষ্ঠ হয়ে চাকরি ইস্তফা দিয়ে দেয় সে। ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর ওপর হামলা চালায় দুস্কৃতিরা। চাকু দিয়ে খুবলে দেয় খতেরার চোখ। রাস্তাতেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে। জ্ঞান আসলে দেখে সে হাসপাতালে। বুঝতে পারে হারিয়েছে দৃষ্টি শক্তি।
ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনো সামনে আসেনি অপরাধীর নাম।তবে অনুমান খতেরার বাবাই লোক দিয়ে একাজ করিয়েছেন।
খতেরা জানায় যদি সে , একটা বছর পুলিশের কাজ করত , তাহলে এই চোখ যাওয়ার কষ্ট তার থাকতো না। সে জানায় তার বাবা অনেকবার তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন, তাই একাজ তার বাবার পক্ষে সম্ভব। স্বপ্ন দেখার দোষে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হল মেয়েকে।