ভারত-চিন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি যে জটিল হবে তা আগে থাকেই বোঝা গেছিল, ভারত – চিন সংঘাতের ফলে চিন ক্রমশ বন্ধত্ব আরও গাঢ় করতে চাইছে বাংলাদেশের সঙ্গে।
ভারতকে কোনঠাসা করতে
প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে একজোট হওয়ার চেষ্টায় রয়েছে বেজিং। ভারত-নেপাল হোক বা ভারত-ভূটান এর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়েছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এই প্রসঙ্গে মত প্রকাশ করে বলেছেন ভৌগলিকই এবং সাথে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেও দীর্ঘদিন ধরেই চিনের নিশানায় বাংলাদেশ। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে লগ্নির পাশাপাশি গ্রামীণ বাজারগুলিতেও চিনা পণ্যের বিস্তার লক্ষ্য করা যায়। এমনকি ঢাকার শেয়ার বাজারেও আছে চিনের বিস্তার ।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ সাক্ষাৎকারে ভারত চিন যুদ্ধের বিষয়ে বলেছেন, ভারত এবং চিন উভয়ই বাংলাদেশের কাছের বন্ধু। দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই চাইছে বাংলাদেশ।
ভারত-চিনের সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশের উপরও দেখা যাবে, কারণ বাংলাদেশের সাথে ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেরই সুসম্পর্ক থাকায় যে কোনো একটি দেশকে বেছে নেওয়া কার্যত কঠিন হবে বাংলাদেশের পক্ষে।
এর পূর্বে ২০১০ সালেও ভারত-চিন সম্পর্কের প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশে।
সে সময় চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে চিনের সাহায্য পেলেও আমেরিকা,জাপান এবং ভারতের চাপ দেওয়ায় চিনকে ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ।
ভারত-মার্কিন ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় প্রতিবেশীদেশ দের দিকে বন্ধুত্ব গাঢ় করতে চাইছে চিন। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্গা-মলদ্বীপ, নেপাল-ভুটান, বাংলাদেশ প্রত্যেক দেশের সঙ্গেই চিনের সম্পর্ক পূর্বের তুলনায় ভালো হয়েছে। এবার বাংলাদেশকে পাশে পেতে চিন মুকুব করেছে ৯৭% শুল্ক যা বাংলাদেশ থেকে চিনে রফতানি হওয়া অতিরিক্ত ৫১৬১টি পণ্যের শুল্ক। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ায় এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে বাংলাদেশের তরফে।