দিনভর খাটতে খাটতে এসির হাওয়ায় চোখ বুজে আসাটা কোন অস্বাভাবিক কথা নয়। আর এমন ঘটনাই ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। একটি বাড়িতে চুরি করতে এসে এসির ঠান্ডা হাওয়ায় চোখ জুড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইল না সে। আর সেই কারনেই ধরা পড়ে গেল চোর। অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী এলাকায় এই আয়েসী চোরের কাহিনি শুনে হাসি চেপে রাখতে পারছেন না অনেকেই।
জেলার এক পেট্রোল পাম্প মালিকের বাড়িতে চুরি করতে এসেছিল বাবু নামে ওই চোর। অবশ্য আসার আগে ভালোভাবে রেইকি করে নিয়েছিল সে। মালিকের দৈনন্দিন গতিবিধি ও কোথায় টাকা পয়সা রাখে সব কিছু নজরে রেখেছিল সে। এবার ছক করে চুরি করতে মাস্ক পরে নিয়েছিল সে যদিও তা কোভিড প্রতিরক্ষা মাস্ক ছিল না।
গত ১২ ই সেপ্টেম্বর বাবুর কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এদিন সে ভোর চারটির দিকে বাড়িতে ঢোকে। এদিন অবশ্য তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান। আর অন্যদিন সেফবক্সে টাকা রেখে ঘুমোতে যান কিনতু এদিন টেবিলের উপর টাকা পয়সা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন। আর এত সহজে কাজ হাসিল হয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি সে। হাতের কাছেই তো রয়েছে টাকা তাই হয়ত একটু জিরিয়ে নিয়ে লম্পট দেওয়ার প্ল্যান ছিল তার।
গোকাভরম থানার কনস্টেবল অর্জুন বলেছেন, বাবু জানায় সে বড্ড ক্লান্ত ছিল। তাই এসির ঠান্ডা হাওয়ার জিরিয়ে নেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায়নি সে। মালিকের খাটের নিচেই ঘুমোনোর দারুন জায়গা পেয়ে যায় সে। আর ঘুম নামামাত্রই নাক ডাকতে শুরু করে বাবু। ঘরে এরক উদ্ঘট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় মালিকের। নিজের ঘরে অচেনা লোককে দেখে তাজ্জব হয়ে যায় সে। তখন তিনি বুঝতে পারেন কী হতে চলেছে। সঙ্গে সঙ্গে চুপিসারে ঘরে তালা মেরে পুলিশে খবর দিতে যান তিনি। সাড়ে সাতটা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। লোকের ডাকাডাকিতে ঘুম ভেঙে যায় তার। অবস্থা বেগতিক বুঝে ঘরের ভিতর থেকে আটকে দেয় সে। অনেক বোজানোর পর দরজা খোলে ও তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবুর অনেক দেনা রয়েছে। ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে সেই দেনা মেটানো কার্যত অসম্ভব। তাই হয়ত একটা চুরি করলে দেনার টাকা উঠে যাবে এই আশায় ছিল সে। রেড্ডিকে প্রতিদিন ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার আগে বাড়িতে টাকা নিয়ে আসেন। এজন্য রেড্ডির বাড়িতে চুরির ছক কষেছিল সে।