নিয়ম মেনে হনুমানজীর পুজো করলে কাটতে পারে আপনার বিপদ
আগেকার দিনে দিদি ঠাকুরমা রা অনেক নিয়ম কানুন পুজোঅর্চনা করতেন, কিন্তু আজকের আধুনিক জীবনে অত নিয়ম কানুন মানে কে? কিছু ঘরোয়া নিয়মকানুন মানলে আপনার সংসারেও নেমে আসবে সুখ শান্তির ছায়া।
অনেকেই আছেন যারা সারা দিন রাত খেটেও সুখ শান্তির মুখ দেখতে পান না। শাস্ত্রানুযায়ী, সুখ শান্তির জন্য বাস্তুশাস্ত্র মানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল বাস্তুশাস্ত্র মেনে খুব কম লোকই বাড়ীঘর করেন ফলে বাস্তুদোষের কবলে অনেককেই পড়তে হয়। আর ভিটেতে বাস্তুদোষ লাগলে নানারকম বিপদ-আপদ অশান্তি অহেতুক অভাব ইত্যাদি লেগেই থাকে সংসারে।
আর আপনি যদি চান বাস্তুদোষ কাটিয়ে সুখ শান্তি ফিরিয়ে আনতে তা হলে আপনাকে কিছু নিয়ম ভক্তি সহকারে মানতে হবে। কথায় আছে,” বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদুর”। তাই না হয় একবার বিশ্বাস করে নিয়ম গুলো মেনে দেখতেই পারেন।
১) বাড়িতে লক্ষীপ্রতিমা রাখুন এবং প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী ভক্তিভরে পুজো করেন। এতে মা লক্ষী সন্তুষ্ট হবেন এবং আপনার ভিটেতে ধনসম্পদের অভাব হবে না।
২) শ্রী হনুমানকে সংকোটমোচন বলেন অনেকেই। পঞ্চমুখী হনুমানকে ভীষন পয়মন্ত ও জাগ্রত মনে করা হয়। আপনি যদি বাড়ির দক্ষিন পশ্চিম মুখে পঞ্চমূখী হনুমানের ছবি বা মুর্তি বসিয়ে পুজো করতে পারেন তা হলে আপনার বাড়ির সকল বিপদ কেটে যাবে।
অশান্তি কেটে যাবে।
৩। ক্রমাগত ঋণ দায়গ্রস্ত ব্যক্তি যদি প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনি বা আটা পিঁপড়েকে খাওয়াতে পারেন তাহলে তিনি শীঘ্রই ঋণমুক্ত হবেন।
৪) আপনি যদি আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হন তা হলে ১১ টি মঙ্গলবার এই নিয়ম ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে পালন করুন। এতে আর্থিক সমস্যা পিছু হটবে। আড়াইশো গ্রাম কালো তিল, ও দেড়শো গ্রাম অড়হড় ডাল বেটে একসঙ্গে এই আটা দিয়ে একটা প্রদীপ বানান এবং তাতে সরষের তেল দেবেন।এই ব্রত করার সময় মনে রাখবেন প্রতি মঙ্গলবার আপনার প্রদীপের সংখ্যা বাড়াতে হবে, অর্থাৎ প্রথম মঙ্গলবার যদি প্রদীপ সংখ্যা একটি হয়, দ্বিতীয় মঙ্গলবার প্রদীপের সংখ্যা দুটি করতে হবে, এইভাবে 11 তম মঙ্গলবারে প্রদীপের সংখ্যা হবে 11 টি করবেন।
৫) বাস্তুদোষ কাটাতে আরও একটি টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। যদি কলস ভর্তি জল বাড়ির উত্তরদিকে রেখে আসতে পারেন তা হলে আর্থিক সংকট অনেকাংশে দুর হবে এবং রোজকারের উৎসস্থল বাড়বে।
৬। বৃহস্পতি বার মা লক্ষ্মীর বার সাথে নারায়ণের। তাই এই দিন আমিষ খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।তাই এই দিন সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণ করলে বিষ্ণু ও লক্ষী উভয়ের কৃপা পাওয়া যায়।