করোনার গ্রাসে উৎসবের আনন্দ এবছর ফিকে হলেও প্রতিবারের মতোই এবছরও দুর্গাপুজো হয়েছে বাংলায় , সমস্ত নির্দেশিকা মেনে প্যান্ডেলের বাইরে থেকে মায়ের দেখা পেয়েছে ভক্তরা। ভার্জুয়ালি প্রত্যেক মন্ডপ, প্রতিমা, প্যান্ডেলের সাজসজ্জা দেখেছেন সাধারণ মানুষ। দুর্গাপূজা এবং লক্ষ্মী পুজোর পর সামনে কালীপুজো।
করোনা সংক্রমণ যাতে কোনোভাবেই না ছড়ায় তাই শ্রীরামপুর বল্লভপুর শ্মশানকালী পুজো কমিটি ও অছি পরিষদ তাদের ১৭১ বছরের পুজোয় এবছর প্রতিমা দর্শন থেকে পুষ্পাঞ্জলি সবটাই ভার্চুয়ালি করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
শ্মশানকালী পুজোয় প্রতিবছর প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের ভিড় মানেই বিপদের সম্ভাবনা। তাই এবছর সমস্ত নির্দেশিকা মেনে পুজো করার পাশাপাশি রয়েছে। সেই ভাবাবেগ কে প্রতিমা দর্শন, মাল্যদান, দন্ডী থেকে, ভোগ প্রসাদ দেওয়া সবই বন্ধ রাখা হয়েছে। কমিটির সদস্যরাই সমস্ত পুজো উপাচার এবং মালা পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে।
কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা যাতে না আসে সে জন্য প্রচার চালানো হবে, তার পরেও তার অনুমান কিছু মানুষ আসতে পারে। সেই কথা ভেবে দর্শনার্থীদের ঢোকার রাস্তা এবং বেরোনোর রাস্তা আলাদা করা হবে। এছাড়াও স্যানিটাইজেশন এর ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান তারা। তবে ভক্তরা মায়ের দর্শন থেকে বঞ্চিত হবেন না কারণ পুজোর সমস্ত কাজ দেখানো হবে ভার্চুয়ালি ।
এবছর শ্রীরামপুর বল্লভপুর শ্মশানকালীর ১৭১ বছরের পুজোয় ভক্তরা মায়ের দর্শন পাবে ভার্চুয়ালি
- Advertisment -