প্রশংসনীয় উদ্যোগ মেদিনীপুরের দুটি স্কুলের
দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় হাঁফিয়ে উঠছে পড়ুয়ারা, পড়ুয়াদের আনন্দদানে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দুটি স্কুল এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত তুলে ধরলো সংকটময় এই পরিস্থিতিতে।
নন্দকুমারের আলাশুলি গোরাচাঁদ প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবৃত্তির প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল। বৃহস্পতিবার স্কুলের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিন পর স্কুলে আসায় খুশি স্কুলের সকলেই।
প্রায় ১০০ দিন পরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দেখে ভালো লাগল জানিয়েছেন প্রশিক্ষক অমল অধিকারী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরূপকুমার ভৌমিক জানান অভিভাবক দের সঙ্গে করা আলোচনা অনুযায়ী নিয়ম মেনে আবৃত্তি ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছিল। এবং অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে চাল-আলু-ডাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও অ্যাক্টিভিটি টাস্ক। পড়ুয়ারা খুবই আনন্দ পেয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের bidyasagar শিশু নিকেতন স্কুলের শিক্ষকরা প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের বনমহোৎসবে অংশগ্রহণ করার নির্দেশিকা আগে থেকেই massege করে জানিয়ে দেয় এবং সে নির্দেশিকায় তাদের জানানো হয়েছিল, প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে টবে বা বাড়ির সামনে ফাঁকা স্থানে কমপক্ষে একটি করে গাছ লাগিয়ে ক্লাস টিচারের কাছে ছবি পাঠাতে হবে।
স্কুলের অধ্যক্ষ চন্দা মজুমদার বলেন, অরণ্য ছাড়া জীবনের কোনো মানে নেই, একটি গাছ, একটি প্রাণ, শিশুমনে এই কথা বোঝাতেই এই উদ্যোগ।
স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক মেদিনীপুরের মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষকশিক্ষিকা দের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সত্যি প্রশংসনীয়। স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন , ‘নোটিস পাওয়া মাত্র ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে গাছ লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী গাছ লাগিয়ে ছবিও পাঠিয়ে দিয়েছে। তাদের আশা এই উদ্যোগে অংশ নেবে হাজার তিনেক ছাত্রছাত্রী।
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাধুবাদ জানিয়েছেন এই।উদ্যোগকে, এমন উদ্যোগ সকলের নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও সন্দীপকুমার বেড়োয়াল বাড়িতে থেকে ছাত্রছাত্রীদের গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষিকাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।