উত্তর প্রদেশের হাথরাস কান্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে,
দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব মানুষ। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দলিত কিশোরী মনীষা বাল্মীকির গণধর্ষণ করে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, ১৪ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে তরুণী মারা যায়।
নির্যাতিতার দেহ তার পরিবারকে না জানিয়েই রাতের অন্ধকারে দাহ করে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘিরে রাখে তার বাড়ি।
এসবের পর উত্তরপ্রদেশের সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন জনগনের । পুলিশের এমন অমানবিক আচরণের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ।
সাংবাদিক থেকে রাজনৈতিক নেতা কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না নির্যাতিতার বাড়ির লোকের সাথে। বিজেপির এক শীর্ষ নেতৃত্ব যোগী সরকারের বিরোধীতা করছেন এই ঘটনায়।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির বিভিন্ন মহল নিজেদের ফায়দা তুলতে সচেষ্ট। কংগ্রেস হোক বা তৃণমূল এখন হাথরাসে যেতে ব্যস্ত সকলে।
দেশ জুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করছে ক্ষুব্ধ জনতা। দাবী একটাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
এই গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকেল চারটে তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিলে শুরু হবে। বিড়লা প্লানেটরিয়াম এর সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হবে বিকেল চারটেয় এবং ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মিছিল শেষ হবে। সূত্র অনুসারে খবর মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আরও অনেক নেতা মন্ত্রীরাও থাকবে এই প্রতিবাদ মিছিলে।
তবে বিরোধীরা এই ঘটিনায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেছেন উত্তরপ্রদেশে এই পাশবিক ঘটনায় তিনি যোগী সরকারকে দায়ী করেছেন ঠিক আছে কিন্তু গেদে, গাইঘাটা, কামদুনি, পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে তৃণমূল সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছিল তাও জানো মনে করে নেয় মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য বিরোধীদের।