বাংলাদেশে বিগত কিছুদিন ধরে যেভাবে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর খুনের ঘটনা ঘটছে তাতে সরকারের পক্ষে আইন পরিবর্তন করা টা জরুরী ছিল যা পরিবর্তন করে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড।
সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পরে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে যা আইনে পরিণত হবে।
করোনা অতিমারির কারণে সংসদের অনুমোদন না মেলায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই নতুন সিদ্ধান্তকে আইন করা হল।
ধর্ষকদের মধ্যে যেমন আছে সাধারণ দুষ্কৃতী তেমনই বেশ কিছু ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শাসক দলের অনুগামী ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের।
দিন দিন পরিস্থিতি ভয়ানক হতে থাকায় বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকেও।
ধর্ষণের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে তাতে আইন কড়া হওয়া অবশ্যই দরকার, শাস্তি না পেলে কিছু মানুষ একই ভুল বারবার করে, আর শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হলে অনেকেই এমন নির্মম পাশবিক কাজ করার আগে হয়ত পরিনতির কথা ভাবতে।
বাংলাদেশে যেভাবে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ বাড়ছে তাতে রোজই মিছিল, বিক্ষোভ বা সভা লেগেই থাকে।
৭ বছর পর ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকার রাস্তায় বিশাল মিছিল করে মৌলবাদী বিরোধী দল জামাতে ইসলামি।
এই অবস্থায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডকে আইন করায় খুশি বাংলাদেশের মানুষ। ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনার জন্য মৃত্যুদন্ডের মত শাস্তির প্রয়োজন, তৎপরতার সঙ্গে এমন আইন প্রনয়নে শেখ হাসিনার সরকার তাই বুঝিয়ে দিল।