হ্যাঁ ভাবতে অবাক লাগলেও সত্যি ঘটনা। শ্রাদ্ধের আগের দিন হেঁটে বাড়ি ফিরলেন মৃত। বাড়ির লোকজন সেই সময় শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত। এমনকি বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের ভিড়। ছাদের ওপর সাদা কাপড়ের প্যান্ডেল। পরিবারের চোখে স্বজন হারানোর কষ্ট স্পষ্ট ফুটে উঠছে। ঠিক সেই সময় বাড়িতে ফোন আসে। ফোনটি আসে জি এন আর হাসপাতাল থেকে। ফোনে পরিবারের সদস্যের বলা হয় “আপনারা যাকে ভর্তি করেছিলেন তিনি এখন সুস্থ আছেন, অ্যামবুলেন্স করে আমরা তাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
ফোন আসতেই অবাক হয়ে জান ব্যানার্জী পরিবার। ছেলে সেই সময় ব্যস্ত শ্রাদ্ধের কাজে। পরিবারের যাকে তারা হারিয়ে ফেরেছিলেন তাকে আবার ফিরে পাবেন এরকমটা ঘটনা যে ঘটতে পারে তা তারা কল্পনাও করতে পারেনি নি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা অপেক্ষা করতে থাকেন তাদের পরিবারের কর্তা কে দেখার জন্য। কারণ দেহ ছিল হসপিটালে তাই হসপিটালের নিয়ম বিধি মেনেই ছেলে তার বাবার সৎকার করেছিল।
ঘটনাটি ঘটে বারাসাত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে। ব্যক্তির নাম শিবনাথ ব্যানার্জী। করোনা নিয়ে তিনি হসপিটালে ভর্তি হন। ১৯ নভেম্বর হাসপাতাল তরফ থেকে জানানো হয় শিবনাথ বাবু মারা গিয়েছেন। তাই হসপিটালের তত্ত্বাবধানেই তাকে দাহ করা হয়।
ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে এরকম গাফিলতি আশা করা যায় না। উত্তর ২৪ পরগনা থানায় রিপোর্ট করা হয়েছে এই বিভ্রান্তি নিয়ে। এই গাফিলতির জন্য যারা দায়ী তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
শ্রাদ্ধের আগের দিন হেঁটে বাড়ি ফিরলেন মৃত ব্যাক্তি… চাঞ্চল্যকর ঘটনা…
- Advertisment -