স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কাজে আসবেনা করোনার ভ্যকসিন, দাবি গবেষকদের
করোনার দাপট বজায় আছে এখনও, তবে করোনার মোকাবিলায় খুব শীঘ্রই হয়তো এসে যাবে করোনার ভ্যাকসিন। বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই আর সেইসব ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতা নিয়ে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
তবে করোনা ভ্যাকসিন এসে গেলেই যে করোনার প্রকোপ কমে যাবে তেমন কিন্তু নয়। গবেষকদের আশঙ্কা রোগা ব্যক্তিদের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন কার্যকরী হলেও মোটা ব্যক্তিদের শরীরে হয়তো করোনার ভ্যাকসিন কাজ নাও করতে পারে। গবেষণায় জানা গেছে করোনার ভ্যাকসিন স্থূলকায় ব্যক্তির শরীরে খুব বেশি কাজ দেবে না, স্থূলকায় ব্যক্তিদের করোনায় মৃত্যুর হারও অন্য মানুষের তুলনায় ৪৮ শতাংশ বেশি বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ফ্রান্স, ইতালি ও আরও বেশ কয়েকটি দেশের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে
ইউএস নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে , রোগা ব্যক্তিদের বেশিরভাগ কোভিড এ আক্রান্ত হলেও বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে গেলেও স্থূল ব্যক্তিদের বেশিরভাগকেই ভর্তি হতে হচ্ছে হাসপাতালে।
মোটা মানুষের ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকার পাশাপাশি মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক বেশি।
কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হলে স্থূলকায় মানুষদের বিপদের আশঙ্কা বেশি তো ছিলোই এবারে মোটা ব্যক্তিদের শরীরে
করোনা ভ্যাকসিনের কাজ না করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা সত্যি চিন্তার বিষয় বলেই এক সংবাদপত্রে জানিয়েছেন ইউএস নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের অধ্যাপক ব্যারি পপকিন।
সার্স ভ্যাকসিন ও ফ্লু ভ্যাকসিনের পরীক্ষার মাধ্যমেই এই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় যে মোটা মানুষদের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন কাজই করবেনা।
আসলে স্থূল ব্যক্তিদের হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস বেশি থাকায় ইনসুলিন প্রতিরোধের ও প্রদাহের ঝুঁকি বেশি মাত্রায় থাকে যা করোনা সংক্রমনের প্রভাব আরও বাড়িয়ে তোলে।যার জন্য মেদবহুল ব্যক্তিদের করোনার আশঙ্কা বাকিদের তুলনায় বেশি থাকে।
ইংল্যান্ডে ২৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং আমেরিকায় ৪০ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মোটা। স্থুলকায় শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়, যে কথা মাথায় রেখে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চলতি বছরের প্রথমে চালু করেছিলেন জাতীয় স্থূলত্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা।