চন্দননগরের উজ্জ্বলতা ঢেকে গেছে করোনার অন্ধকারে
আলোর ঝলকানিতে উজ্জ্বল শহর চন্দননগরে নেমে এসেছে তীব্র অন্ধকার। এলাকাবাসীর জীবনে আতঙ্কের আতর্নাদ শোনা যাচ্ছে করোনা মহামারীর কারণে। সংসারে অভাব অনটন এখন নিত্য দিনের সঙ্গী, বহু দিনের পেশা বদলে কেউ হয়েছে মাছ বিক্রেতা তো কোনো বাড়ির বউ সংসার চালাতে দোকানী হয়েছেন।
আলোক শিল্পের জন্য বিখ্যাত চন্দননগরে আগে সারি সারি দোকান ছিল আলোর, এখন সেই সব দোকান বন্ধ, বন্ধ সেই কাজে যুক্ত থাকা হাজার হাজার মানুষের রোজগার।
চন্দননগরের আলোকশিল্প সরঞ্জাম পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিখ্যাত ছিল বাকি রাজ্যেও, এখানকার তৈরী জিনিস কিনতে ক্রেতা আসতো ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম থেকে।
চন্দননগরের আলোক শিল্পের সঙ্গে হুগলি জেলার বহু মানুষও যুক্ত ছিল, আলোর সরঞ্জামের দোকান গুলো পরিবর্তন হয়ে নতুন রুপ পেয়েছে, যেখানে আলোর পরিবর্তে স্থান পেয়েছে সবজি, মুরগী, মনোহারী, মুদিখানার জিনিস। চীন থেকে জিনিস আনা বন্ধ, তাই লকডাউন এবং করোনা মহামারী শুধু যে শরীরের দিক থেকে মানুষকে দুর্বল করেছে তাই নয়, বহু মানুষের জীবিকা,তাদের রোজগারের আশ্রয়ও কেড়ে নিয়েছে। পুজোর যে বিশাল অর্ডার আসতো তাও বন্ধ এবছর। তবুও সংসার তো চালাতে হবেই। তাই পেশা পরিবর্তন করেই দিন এগোচ্ছে চন্দননগর বাসীর।