বর্তমানে ৫জি স্মার্টফোনের যুগে ব্রহ্মদৈত্য, পেত্নী, শাকচুন্নির নামও হয়তো জানেনা এই প্রজন্মের খুদেরা। ইন্টারনেট, মোবাইল গেম এই আটকে আছে এই প্রজন্মের ছোটবেলা। আগে যেমন রাতের অন্ধকারে ভূতের গল্প শোনা হোক, বা লেপ মুড়ি দিয়ে ভূতের গল্পের বই পড়া, এসবের কোনটাই এখন আর তেমন দেখা যায় না।
এখন ফোনের এক ক্লিকেই পাওয়া যায় সবকিছু, গৃহস্থালীর সদাই থেকে শুরু করে জামাকাপড়, বই, ইত্যাদি।
প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে মানুষও তত আধুনিক হচ্ছে।
কিন্তু যদি অনলাইনে ভূতের হদিশ পাওয়া যায়, আধুনিক মানুষও কিন্তু আগ্রহ দেখাবে। কারণ ভূতের প্রতি কৌতুহল মানুষের যেমন আগেও ছিল এখনো আছে।
এরকমই একটি নতুনত্ব ভাবনার ওপর কেন্দ্র করে পরিচালক অভিরূপ ঘোষ নিয়ে আসতে চলেছেন তাঁর পরবর্তী ছবি ‘ব্রহ্মদৈত্য’। এটি ১১ সেপ্টেম্বর হইচইতে মুক্তি পেতে চলেছে।
“ব্রহ্মদৈত্য-“এ আমরা যাদের বিভিন্ন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখতে পাবো তারা হলেন সায়নী ঘোষ, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, সৌরভ সাহা, সৌমেন বোস, সৌমাল্য দত্ত, মণিকা দে, দত্তাত্রেয় চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
“ব্রহ্মদৈত্যের” কাহিনীকার অভিরূপ ঘোষ। এই ছবির সম্পাদনা করেছেন জিষ্ণু সেন। ছবির আবহসঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মেঘ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং এই ছবির চিত্রগ্রহণে আছেন অঙ্কিত সেনগুপ্ত।
এই ছবিতে সায়নী ঘোষকে কে দেখা যাবে সায়ন্তিকার চরিত্রে যিনি একজন সাংবাদিক।
নানা সমস্যায় জর্জরিত সায়ন্তিকাকে সম্পাদক ভূত নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে দিলে সে সন্ধান পায় ‘বাই আ ঘোস্ট ফর সেল’ এর যা এমন এক E-commerce সাইট, যেখানে সস্তায় ব্রহ্মদৈত্য পাওয়া যায়।
এমন চমক দেখলে কার না কৌতূহল জাগে। সায়ন্তিকাও এই ব্রহ্মদৈত্য সম্পর্কে কৌতূহল বশত বুক করে ফেলে ব্রহ্মদৈত্য।
তারপর তাঁর বাড়িতে হাজির হয় একটি ট্রাঙ্ক, সেই ট্রাঙ্ক খুলতেই বেড়িয়ে আসে তার বুক করা ব্রহ্মদৈত্য। তারপর থেকেই আসা তার জীবনের নতুন মোড়, অঅদ্ভুত ঘটনা, এসব নিয়েই এগোতে থাকে গল্প।
ব্রহ্মদৈত্য নিয়ে জনগণের মধ্যে যে অধিক উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছে তা দেখে আমরা একথা বলতে পারি যে, বাংলার ভূতেদের নিয়ে গড়ে ওঠা ব্রহ্মদৈত্য সকল বাঙালীকে নতুন কিছু উপহার দিতে চলেছে, এবং মন জয় করতে চলেছে সকল ভূতপ্রেমী মানুষের।