দীর্ঘদিন কাজ নেই, পেটের দায়ে নামকরা শিল্পী এখন দুধ বিক্রেতা
একসময় বাদ্যযন্ত্র তালে জীবনের সব স্বপ্ন চলছিল নিজের গতিতে হঠাৎ করোনা এসে সব তছনছ করে দিল, একাধিক শিল্পীর মতোই লকডাউনের সংকটময় পরিস্থিতিতে নিজের পেশা পরিবর্তন করতে হয়েছে বারাসাতের জনপ্রিয় শিল্পী গৌরাঙ্গ মুখোপাধ্যায়কে।
পার্কাশন বাজান তবলা , কঙ্গো – সহ একাধিক বাদ্যযন্ত্র দক্ষতার সঙ্গে বাজান তিনি। দীর্ঘ চব্বিশ বছর তিনি কলকাতা মুম্বাইয়ের জনপ্রিয় গায়ক গায়িকাদের গানে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছেন তিনি, সেই তালিকায় রয়েছেন বিনোদ রাঠোর, বাপ্পি লাহিড়ির মতো নামকরা শিল্পীরা। তাদের সঙ্গে মঞ্চ মাতিয়েছেন এককালে, এখন পরিস্থিতি তাকে সংঘর্ষের জীবনে নিয়ে এসেছে, কিন্তু তিনি হার মানেন নি, পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে মেনে নিয়ে এগিয়েছেন, দায়িত্ব পালনে বদলেছেন পেশা৷
বর্তমানে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার পর সংসার চালাতে পেশা বদল করে তিনি প্যাকেটের দুধ নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন।এক শুভাকাঙ্ক্ষীর দোকানে বিকেলে নিয়ে বসেন দই , লস্যি , পনির।
সঙ্গীতের সূত্রে একসময় বিদেশেও গেছেন তিনি, তবে সময়ের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। সঙ্গীতশিল্পী গৌরাঙ্গ বলেন , লকডাউনে অনেকেরই জীবন ওলটপালট হয়ে গেছে। এই পেশাকে নিয়েই এখন তিনি খুশি, ডেয়ারি প্রােডাক্টাই এখন তার পরিবারের সকলের অন্ন জোগাচ্ছে। কঠিন এই পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হবে ততদিন বিনোদনের সঙ্গে জড়িত শিল্পীদের কাজ সেইভাবে থাকবেনা, কিন্তু তিনি আশাবাদী, এইরকম সময় চিরকাল থাকবে আবার পৃথিবীতে সবকিছু আগের মতো হবে, দূর হয়ে যাবে করোনা, তিনিও ফিরবেন তার কাজের জগতে, তার স্বপ্নের জগতে।
শিল্পী শিবাজি চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন বর্তমান পরিস্থিতি শিল্পীদের জন্য খুবই সংকটময়, একদিকে এরকম পরিস্থিতি অপরদিকে তাদের কাজ নেই, গৌরাঙ্গবাবুর মতো অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন, অনেকের আবার বয়সের কারণে সেই উপায়ও নেই।