বদলাতে পারে মেয়েদের বিবাহের নুন্যতম বয়সসীমা
দেশের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের সপ্তম ভাষনে নারী ক্ষমতায়ন বিষয়ে অনেক প্রসঙ্গ সামনে এনেছেন। প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় দাড়িয়ে তিনি বলেছেন, মাত্র ১ টাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার কথা। তিনি বলেছেন, মহিলাদের নিয়োগ ও স্বনির্ভর প্রযুক্তির প্রকল্পে সুযোগ দিতে সংকল্পবদ্ধ দেশ। মহিলারা যুদ্ধ বিমান চালিয়ে আকাশও ষ্পর্শ করছেন। এদিন প্রায় দেড় ঘন্টার বক্তব্যে নানা বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তিনি।
মেয়েদের বিয়ের বয়সের বিষয়ে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি করা হচ্ছে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা নির্ধারন করা হচ্ছে।
পাশাপাশি কন্যাশিশুদের অপুষ্টির বিষয় নিয়েও বলেছেন তিনি। দেশের অধিকাংশ কন্যাসন্তানরাই অপুষ্টির শিকার। তাই মাত্র একটাকায় ন্যাপকিন দেওয়ারও ঘোষনা করেন তিনি।
ভারতে ব্রিটিশ আমলে সারদা আইনের মাধ্যমে মেয়ে ও ছেলেদের বিবাহের নুন্যতম বয়স ধার্য করা হয়েছিল ১৪ ও ১৮ বছর। পরে ১৯৪০ ও ১৯৭৮ সালে এই নিয়ম বদলে নুন্যতম বয়স রাখা হয় ১৮ ও ২১।
২০০৬ সালে প্রকাশ্যে আসে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর খারিজ করা হয় তিন তালাক সিদ্ধান্ত।
২০২০- ২১ এর ভাষনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, মেয়েদের বিয়ের নুন্যতম বয়সসীমা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার কথা ভাবা হচ্ছে।