এবছর শ্রাবণের প্রথম সোমবারেও জনশূন্য ছিল তারকেশ্বর মন্দির চত্বর
ভক্তদের ভিড়ে জমজমাট তারকেশ্বর চত্বর বর্তমানে জনশূন্য, শ্রাবনের প্রথম সোমবারে প্রত্যেকবারের মতো ভিড় তো দূরের কথা, অফিস যাত্রী ছাড়া বাস স্ট্যান্ডে লোকের দেখা নেই।
করোনা সংক্রমণের সতর্কতায় প্রায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ মন্দির। তারকেশ্বর মন্দির আনলকের দ্বিতীয় পর্বে খোলা হলেও মন্দিরের কাছে এলাকায় কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ফের বন্ধ হয়ে যায় মন্দির।
কয়েকশ লোক জল নিয়ে রবিবার এবং সোমবার তারকেশ্বরমুখী হলেও তাঁরা তারকেশ্বর মন্দিরে না গিয়ে তার অনেকটা আগে লোকনাথের শিবমন্দিরে জল ঢেলে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
শ্রাবণমাসে শ্রাবণীমেলায় কয়েকহাজার মানুষ মেলায় পসরা নিয়ে বসেন কিন্তু এবার মেলা বন্ধ হওয়ায় কাজ হারিয়েছেন সেইসব মানুষ। বৈদ্যবাটি-শেওড়াফুলি এলাকা থেকেই লক্ষ লক্ষ পূন্যার্থী প্রতিবছর জল তোলেন । অন্যান্য বছর এই সময় বৈদ্যবাটি, শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত কয়েক হাজার দোকান বসে রাস্তায়, সেসব কিছুই নেই এবার। খাবার হোক না বিভিন্ন জিনিস বা, বাঁক বিক্রি সকলেরই উপার্জন বন্ধ করোনার জন্য।
চন্দন মুখোপাধ্যায় যিনি বাঁক ও জলযাত্রীদের পোশাকের দোকানের এক বিক্রেতা তিনি বলেন করোনার দাপটে এবছর তারা মাছি তাড়াচ্ছে। প্রতিবছর যেমন বিক্রি হয় এবছর তার এক কনাও নেই।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও
শুনশান গঙ্গার ঘাটে
শ্রাবন মাসে জল এসেছিলেন হলদিয়ার দিব্যেন্দু দাস। কিন্তু এবছর সবটাই হয়েছে অন্যরকম। পায়ে হেঁটে নয়, এবার গাড়ি ভাড়া করে এসে, বৈদ্যবাটি নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে জল তুলে তিনি লোকনাথের উদ্দেশে রওনা হন।
তারকেশ্বরে চৈত্র এবং শ্রাবণে যাত্রীদের ভিড় থাকে প্রচন্ড । তবে করোনা আসার পর গত চৈত্রেও ধর্মীয়স্থান বন্ধ থাকায় ব্যবসা মন্দা ছিল। তবে সেই একই অবস্থা যে শ্রাবনেও থাকবে ভাবেনি অনেকেই।