শ্রীলেখার নেপোটিজম প্রসঙ্গে পাল্টা জবাব স্বস্তিকার
ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল না তার কোন গডফাদার, কোনো পরিচালকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেননি, তাই কোনো সিনেমায় তিনি নায়িকার পার্ট করতে পারেননি, সেকেন্ড লিড হয়েই থাকতে হয়েছে তাকে! প্রতিভা থাকা সত্বেও নেপোটিজমের জন্য তাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এমনই বিষ্ফোরক কিছু মন্তব্য করেন শ্রীলেখা।
বেশ কিছু দিন আগে ইউটিউবে ভিডিও করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই নায়িকা। টলিউডের সিনেমা পরিচালক থেকে নায়িকা ঋতুপর্না – স্বস্তিকার প্রসঙ্গ এনে স্বজনপোষন নিয়ে কথা তোলেন। কেন প্রসেনজিত – ঋতুপর্নার সিনেমা এতটা হিট সেই নিয়েও বলেন বিষ্ফোরক কিছু মন্তব্য করেন তিনি।
শ্রীলেখার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন অন্যান্য টলিউড অভিনেত্রীরা। সম্প্রতি স্বস্তিকা সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, যখন কোন অভিনেত্রী কোন পরিচালকের এক বা একের বেশী চরিত্রে কাজ করেন তখন বলা হয়, সে শুয়ে বা প্রেম করে কাজটি পেয়েছে। তা বেশ! যখন কোন অভিনেতা বা সিনেমাটোগ্রাফার একই পরিচালকের একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেন তারাও কি একই পন্থা অবলম্বন করেছেন! তাহলে বলতে হয় এনারা প্রত্যেকেই উভকাভী ও সুযোগসন্ধানী? স্বস্তিকার মোদ্দা কথায়, নিয়ম প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একই হওয়া উচিত সে অভিনেতা বা অভিনেত্রী যেই হোক।
অন্যদিকে শ্রীলেখার মন্তব্যের চরম সমালোচনা করেন ঋতুপর্না সেনগুপ্ত। তার কথায়, নিজের খামতি ঢেকে অন্য নায়িকাদের স্লাটসেমিং করার কোনো মানে হয় না। আর প্রসেনজিত – ঋতুপর্না জুটি নিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ ২০০১ – ২০১৫ সাল অবধি প্রসেনজিৎ এর সঙ্গে কোন সিনেমা করেননি তিনি। দীর্ঘ বেশ কিছু বছর পর প্রসেনজিতের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন দৃষ্টিকোণ ও প্রাক্তনে। এছাড়া টলিউড প্রযোজক অশোক ধিনুকা ষ্পষ্ট্যভাবে ছানিয়েছেন, বুম্বাদা কখনও এরকম বলেননি যে এই অভিনেত্রী ছাড়া তিনি কাজ করবেন না।
কাজেই শ্রীলেখার প্রত্যেকটি বক্তব্য অযৌক্তিক ও অর্থহীন বলেই প্রমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সুত্রে খবর।