পাকিস্তানি প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার বলেন তার কাছে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিয় অধিনায়ক তথা সাহসী ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলীর দক্ষতা তার কাছে সর্বোৎকৃষ্ট।নিজের দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে জেতার দৃঢ় মানসিকতা তৈরী করেছিলেন তিনি।২০০০ সালের ভারতীয় ক্রিকেটের টালমাটাল অবস্থায় সৌরভ দলের দায়িত্ব তুলে নেন নিজের হাতে।শুধু এটুকু নয়,দলকে জেতাতে পারার ক্ষমতা রাখে এরকম খেলোয়াড়দের নির্বাচিত করার এক অদ্ভুত ক্ষমতা ছিলো তাঁর,বলেন শোয়েব।তিনি আরও বলেন,“ভারতে আমার ফেভারিট ক্যাপ্টেন হল সৌরভ। ভারত থেকে ওর চেয়ে বেটার ক্যাপ্টেন বেরোয়নি। তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিও অসাধারণ অধিনায়ক ছিল। নব্বইয়ের দশকে আমাদের বিরুদ্ধে ভারত তো কখনও জিততেই পারত না। কিন্তু, ২০০০ সালে সৌরভ অধিনায়ক হওয়ার পর পাকিস্তানকে হারানোর মতো প্রতিভা ভারতের রয়েছে বলে মনে হয়েছিল। আর ভারত সেটা করে দেখিয়েওছিল। ভারতীয় দলে পরিবর্তন ঘটিয়েছিল সৌরভ। বাঙালিরা সাহসী হয়, লড়াকু হয় আর সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতে পারে। আমার ভাল লাগে বাঙালিদের।”
বাইশ গজে ব্যাটসম্যান সৌরভ সম্পর্কে শোয়েব বলেছেন, “অনেকেই সৌরভকে কাপুরুষ ভাবেন। মনে করেন আমার বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পেত ও। কিন্তু, আমার মতে, কেরিয়ারে যত জনকে বল করেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ব্যাটসম্যান সৌরভই। ওর হাতে খুব বেশি শট ছিল না। আমি তাই চেষ্টা করতাম ওর বুকে বল মারার। কিন্তু তার পরও ওপেনার হিসেবে ও খেলেছে, সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে আমার। রানও করেছে। ও ছিল টিম ইন্ডিয়ার সাহসী এক অধিনায়ক।”
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সৌরভের নেতৃত্বেও খেলেছিলেন শোয়েব।তবে ইডেনের সঙ্গে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ বলে চিহ্নিত এই প্লেয়ারের সম্পর্ক অবশ্য আরও পুরনো। ১৯৯৯ সালে টেস্টে পর পর দুই বলে রাহুল দ্রাবিড় ও সচিন তেন্ডুলকরকে বোল্ড করে গ্যালারিকে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার।
সৌরভের প্রশংসায় পাকিস্থানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার
- Advertisment -