নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ এর ৯ ফেব্রুয়ারি, হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছেই খুন হন সত্যজিৎ বিশ্বাস। সিআইডির তরফে গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে। পরে আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে নাম থাকে জগন্নাথ সরকার এবং মুকুল রায়ের।
কিন্তু এই ঘটনায় মুকুল রায়ের প্রতি তৃণমূল সরকার কেন এত নরম মনোভাব পোষণ করছেন তার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে অভিমত বিজেপি নেতৃত্বের।
রাজ্য বিজেপির শীর্ষ মহলের তরফে পরোক্ষ কিছু তো ব্যাপার আছে। নইলে কেন
খুনের মামলার চার্জশিটে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম অভিযুক্ত হিসেবে আছে এবং অপরপক্ষে মুকুল রায়ের নাম অভিযুক্ত হিসেবে নয় বরং সন্দেহভাজন হিসেবে আছে।
নরম মনোভাবের কারণেই মুকুল রায় কে সন্দেহভাজন বলে তদন্তের জন্য সিআইডি সময় চাওয়ায় আদালতের তরফে মঞ্জুর করা হয়েছে তিনমাসের সময়।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আসন্ন ভোটের আগে শুরু হয়ে গেছে বিজেপির দলের মধ্যে বিভাজন সন্দেহ তৈরীর চেষ্টা। বিজেপিতে কাজের সুযোগ না পাওয়ায় মুকুলবাবুকে কাজে লাগিয়ে
বিজেপি দলে ভাঙ্গনের চেষ্টা চলছে এমনটাই ভাবছেন অনেকে।
আবার শোনা যাচ্ছে মুকুল রায় তার পুরনো দল তৃণমূলের সাথে যোগাযোগ রাখছে। দিলীপ ঘোষ বিজেপিতে ভাঙ্গন সৃষ্টির পরিকল্পনার জন্য তৃণমূল সক্রিয় বলে জানালেও মুকুল রায় বা তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট মন্তব্য এখনো করা হয়নি।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যােয়র যিনি তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী, বিজেপিকে আক্রমণের সুরে বলেন দিলীপবাবুর কথায় মনে হচ্ছে তিনি চান মুকুলের নাম অভিযুক্ত হিসেবে সরাসরি থাকুক সত্যজিৎ-মামলার চার্জশিটে, তিনি জানান দিলীপবাবুর মনে রাখা উচিত মুকুল রায় কিন্তু তো সারদা-মামলাতেও অভিযুক্ত নন, সন্দেহভাজন।
মুকুল রায় চার্জশিটের ব্যাপারে বলেন কেন তার নাম চার্জশিটে আছে, কেন সন্দেহভাজন হিসেবে আছে এসব তিনি জানেন না, তবে এটা জানেন যে পুলিশ-প্রশাসন যদি বেশি প্রভুভক্তি দেখায় তাহলে সেই প্রভু কিন্তু চলে যায় সরকার থেকে।