দেশ জুড়ে মানুষের ক্ষোভ
হাথরস কাণ্ড নিয়ে, সুপ্রিম কোর্টে যোগী সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে , মৃতা তরুণীর নাকি ধর্ষণই হয়নি, তাই বাড়তি ঝামেলা যাতে না হয় তাই গভীর রাতে দেহ সৎকার করে দেওয়া হয়।
যত দিন যাচ্ছে হাথরসকে কেন্দ্র করে বাড়ছে আতঙ্ক, দেশজুড়ে মানুষ ক্ষোভে প্রতিবাদে গর্জে উঠছে হাথরসের এমন নিষ্ঠুরতম ঘটনায়, আর তার মধ্যেই ধর্ষণের পুনরাবৃত্তি দেখা গেল
হাথরসেরই।
যেখানে এক চার বছরের শিশুকে তার তুতো দাদা ধর্ষণ করে, হাসপাতালে কয়েকদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে সোমবার দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে।
মাসির বাড়িতেই বেশ কিছুদিন বন্দী ছিল ওই শিশু। মাসির বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের ইগলাসে,সেখান থেকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ উদ্ধার করে ওই শিশুকে।
এক এনজিও থেকে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন আলিগড়ের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট জি মুনির। নির্যাতিতা শিশুর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়, সেই সময় শিশুটির অবস্থা ছিল সংকটজনক। তাকে প্রথমে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে অবস্থা আরও গুরুতর হয়ে পড়লে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা করা হয়, যদিও বাঁচানো সম্ভব হয়নি ওই শিশুকে।
ওই শিশুর দাদা যে মূল অভিযুক্ত তার বয়স ১৫ বছর। ইতোমধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে জেরা করেছে। নিজের অপরাধের কথা মেনে নিয়েছে অভিযুক্ত । সূত্র অনুযায়ী খবর ডাক্তারি পরীক্ষায় শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অপরদিকে হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বুলগড়হি গ্রামে দেখা করতে যান আপের সাংসদ সঞ্জয় সিং ও আপ বিধায়ক রাখি বিড়লা।
যখন তারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বেরোন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেই সময় সঞ্জয়ের মুখে ছোড়া হয় কালি,যদিও ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত দীপক শর্মাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
সঞ্জয় এই ঘটনার প্রতিবাদে টুইট করে জানান যোগীজি একজন কাপুরুষ! তাকে যতই মারা হোক, তার বিরুদ্ধে মামলা এমনকি খুন পর্যন্ত করা হোক তবুও লড়াই থামবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
২০১২ সালে নির্ভয়া কান্ডের চার ধর্ষকে শাস্তি দিয়ে নির্ভয়াকে ন্যয় বিচার পাইয়ে দেওয়া আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা
হাথরস মামলা তেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লড়বেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে উচ্চবর্ণের সংগঠন ‘অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় মহাসভা’ এই মামলার জন্য নিয়োগ করেছেন আইনজীবী এপি সিংকে। মহাসভার সভাপতি রাজা মানবেন্দ্র সিং ঘটনার পরে বলেছেন হাথরস মামলার মাধ্যমে রাজপুত সম্প্রদায়কে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এপি সিং এর পারিশ্রমিক মহাসভার তরফেই সংগৃহীত অর্থ দ্বারাই দেওয়া হবে।