গৃহের সবথেকে পবিত্র স্থান হল ঠাকুরঘরকেই মনে করা হয়। যদিও ভগবানের বিরাজ সর্বত্র তবুও ঠাকুরঘরেই তিনি অধিষ্ঠান করেন বলে মনে করেন অধিকাংশই। আর সেই কারনে ঠাকুর গরকে আমরা সাজিয়ে গুছিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা খরি। যাবতীয় নিয়ম আচার কানুন মানার চেষ্টা করি ঠাকুরঘরে। শাস্ত্রানুযায়ী, অশুভ শক্তিকে দূরে রাখতে ঠাকুর ঘরে যাবতীয় নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত।
ঠাকুর ঘরে লোহার দরজা যেন না হয় বা স্বয়ংক্রিয় দরজা যা আপনাআপনি বন্ধ হয় যায় এরকম দরজা যেন না থাকে। ঠাকুর ঘর যেন সর্বদা আলো বাতাসপূর্ন থাকে তাতে নেগেটিভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখে।
ঠাকুর ঘরে ঘন্টা রাখা উচিত এতে নেগেটিভ শক্তি দূর হয় ও বাস্তুমতে দেওয়াল হালকা হলুদ, সাদা বা হালকা নীল রঙ করা উচিত ও মেঝে সাদা রাখা উচিত।
বাথরুম ও রান্নাঘর থেকে ঠাকুরঘরকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখবেন। ঠাকুরঘরে প্রদীপ যেন সর্বদা উত্তর পূর্ব দিক করে রাখবেন ও লক্ষ্য রাখবেন প্রদীপ যেন মাটিতে না থাকে। ঠাকুরঘরে থাকা দেবদেবীর মূর্তি যেন ২ ইঞ্চির কম বা ৯ ইঞ্চির বেশী উচ্চতা না হয়।
শাস্ত্রমতে এক ঠাকুর অপর ঠাকুরের দিকে যেন মুখ করে না রাখা নয়। একই দেবতার দুটি মুর্তিকেও অশুভ বলে গন্য করা হয়। ঠাকুরঘরের কাছাকাছি জুতো বা চামড়ার জিনিসও রাখবেন না।
বাস্তুঘরে ঠাকুর সামগ্রী দক্ষিন পূর্ব দিক করে রাখবেন। বাড়িতেও ঠাকুর রাখার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। যদি একইসঙ্গে তিনটি গনেশের মুর্তি রাখেন তবে তা সরিয়ে ফেলুন। অন্যথায় তা বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে।
আপনার ঠাকুরঘরে শিবলিঙ্গ থাকলে নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পূজো করুন। আর কখনও দুটি শিবলিঙ্গ একসঙ্গে রাখবেন না। শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে রাধা ও রুক্মিণীর ছবি একসঙ্গে থাকলে তা আপনার দাম্পত্য জীবনে কলহ বাড়াতে পারে। গনেশের সঙ্গে রিদ্ধি ও সিদ্ধির ছবি রাখবেন। ঠাকুরঘরকে সর্বদা আলাদা ও পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।