ইঁটের খাঁচায় বন্দি মানুষ,
বয়ে চলেছে মৃত্যুপুরীর ঝড়
ফাঁকা পরে রাস্তার মোড়
জীর্ণ আমার কলেবর
২০২০ সালের করোনা অতিমারীর প্রকোপে লকডাউনে আমরা সবাই ঘরবন্দি হয়ে আছি। মানুষ মনে করত যে মানুষের চেয়ে শক্তিশালী কেউ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে নেই, অথচ এই সময়ে মানুষই ঘরের বাইরে বেড়োতে পারছে না।
এই বছর ভারতের প্রথম অস্কার বিজয়ী চলচিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ। সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখনী ‘পথের পাঁচালী’ এর ওপর ভিত্তি করে ওনার ছবি ‘পথের পাঁচালী’ ১৯৫৫ সালে মুক্তি পেয়েছিলো যা ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। আজ সেই মহান চলচিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পথের পাঁচালী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রীনহাউস এন্টারটেইনমেন্ট ভেঞ্চারসের প্রযোজনায় ও সন্তু কুমার পাল-এর পরিচালনায় ‘নিশ্চিন্দিপুর’ রিলিজ হতে চলেছে।
পৃথিবীর সব সম্পর্কের মধ্যে অত্যন্ত পবিত্র সম্পর্ক ভাই-বোনের সম্পর্ক, আর ভাই-বোন বলতেই প্রথমেই মাথায় আসে অপু-দুর্গার কথা, সেখানে অপু দুর্গার চোখে কাশ বনের মধ্যে দিয়ে প্রথম রেললাইন ও রেলগাড়ি দেখার বিস্ময় মানুষের মনে যেমন দাগ কেটে ছিল তেমনি অজানা জ্বরে দুর্গার চলে যাওয়া টাও দর্শকের মনকে বেদনায় ভারাক্রান্ত করেছিল।
‘নিশ্চিন্দিপুর’ সেইরকম ভাই-বোনের সম্পর্ককে নতুন আঙ্গিকে সামনে আনতে চলেছে। ঝগড়াঝাটি, খুনসুটি, খেলাধূলা এই সব কিছুর মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠে ভাই-বোন, কিন্তু করোনা অতিমারী ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নেয় বর্তমান দুর্গা রূপী দিদি-র।
খুব অনুভূতিপ্রবণ এই গল্পে অভিনয় করেছেন পুস্কর লাহিড়ি, প্রিন্সিপ্রিয়া ভৌমিক, অঙ্কুর রায়, সুরজিৎ রায় ও সুবর্ণা চক্রবর্তী। পুরো সিনেমাটির মিউজিকের দায়িত্বে ছিলেন রূপম শেঠ।অসামান্য গায়কী রয়েছে যার পিছনে তাতে সুচেতা চক্রবর্তী,রূপম শেঠ ও মাধুর্য চক্রবর্তীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। রাজেশ মাঝির বাঁশির সুর ও শাশ্বত দাসের ক্যামেরা মানুষের যে মন ছোঁবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্পূর্ণ ছবিটি এডিট করেছেন অঙ্কুর রায় এবং সঙ্গীত আয়োজক এস এম মিউজিক সাউন্ড প্রোডাকশনের সুমন দাস।
খুব কঠিন বাস্তবকে সামনে আনতে চলেছে সন্তু পালের এই ছবি ‘নিশ্চিন্দিপুর’ যার এর আগেও দুটি ছবি মানুষের মন কেড়েছিলো বেশ অনেককটি ফ্লিম ফেস্টিভালে পুরস্কৃতও হয়েছিলো তার সেই ছবি গুলি। নিশ্চিন্দিপুর এর টিজারের পাশাপাশি পুরো ছবিটি মানুষের মন ছুঁতে বাধ্য।