বাড়িতে ‘ভূত’ পুষেছে, অভিযোগে, একঘরে করা হল মালদা র এক পরিবারকে
সময় পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি মানুষের অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কার,
বাড়িতে মানুষ পোষ্য রাখে আমরা সবাই জানি, কিন্তু ভূত? হ্যাঁ বর্তমান যুগে দাড়িয়েও এমন বিশ্বাস অনেক মানুষের। সম্প্রতি এই ধরনের কুসংস্কারের ফলে এক পরিবারকে করে দেওয়া হল একঘরে।
মালদাতে এক পরিবারের বিরুদ্ধে এলাকার সকলের অভিযোগ তারা বাড়িতে ভূত পোষে।
ওল্ড মালদা ব্লকে দুই মেয়ে ও শাশুড়ির সঙ্গে থাকেন বাড়ির গৃহকর্ত্রী, বাড়ির কর্তা পরিযায়ী শ্রমিক।
বাড়িতে একটু বেশি লেগে থাকতো পুজোআর্চা৷ স্বীকারোক্তি পরিবারের, তবে এমন অভিযোগ এলাকার তরফে আসতে পারে ভাবেনি তারা। জানা গেছে ওই মহিলা এবং এলাকাবাসীর তরফে ওঝাও নিয়োগ হয়, পারলৌকিক সওয়ালের সমর্থনে নিজেদের পক্ষের ওঝা নিয়োগ করেও দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার সমাধান পাওয়া যায় নি বরং আলোচনা বৃহত্তর রুপ নিয়ে হাতাহাতির পর্যায়ে এগোয়। এখন গোটা এলাকাবাসি একদিকে, ওই পরিবার একদিকে, তাদের সমর্থনে পাশে নেই এলাকার কেউ। গ্রামের মানুষের অন্ধবিশ্বাস যে এখনও আগের মতোই আছে এসব ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়।
এই ধরনের ঘটনা একাধিকবার উঠে এসেছে। পূর্বে নদীয়াতে এক বাড়িতে ভূত পোষা হয়েছে অভিযোগে শান্তিপুরের ছোট জিয়াকুর গ্রামের আদিবাসী মহল্লায় ঢুকে এক পরিবারকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছিল।
এক ওঝা জানিয়েছিল এলাকার ওই বাড়িতে ভূত আছে, আর তাই ডংক্ষীরার গ্রামের কয়েক জন চড়াও হয় ওই বাড়িটিতে। পূর্বে ভূতে ধরা এক কিশোরিকে ছেড়ে সেই ভূত নাকি স্থান নিয়েছে ওই বাড়িতে, আর সেই কারণে
ডংক্ষীরা গ্রামের লোকেরা
লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল, তাদের বাঁধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন অনেকে।