তৃণমূলকে যে হারাতে পারে তাঁর পথ চেয়ে বসে আছে বিজেপি, মুকুল রায় জানেন সেই ব্যক্তি কে
বিজেপি সুযোগের অপেক্ষায়, তৃণমূলের কেউ এদিন ওদিক হলেই তাকে গেরুয়া শিবিরে যুক্ত করার জন্য। অনেকেই ভোটের আগে বদলে ফেলেছেন দল।
তবে তৃণমূলকে কে
কে হারাতে পারেন তা জানেন মুকুল রায়। বিজেপি বহুদিন থেকেই জাল পেতে বসে থাকলেও সে কিন্তু ধরা দেওয়ার মতো নন। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে ধরতে পারছেন না সেখানে মুকুল রায় বা দিলীপ ঘোষ কি আর পারবেন, তবুও আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।
বিজেপি প্রতীক্ষায় আছেন শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের অন্যতম নেতা, জননেতা শুভেন্দু তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মন্ত্রী। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তৃণমূলের সাথে দূরত্ব রাখায় রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে নানা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।
শুভেন্দু যাতে বিজেপিতে আসে সেই কারণে বিজেপি অনেক আগে থেকেই ফাঁদ পেতে রেখেছে, মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপির লক্ষ শুভেন্দু। কারণ সকলেই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যদি কেউ সমানে সমানে লড়তে পারেন তাহলে সে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী।
নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিজেপির দরকার শুভেন্দু অধিকারিকে, কারণ বিজেপিতে এমন কেউ নেই যে মুখ্যমন্ত্রীর বিকল্প হবে। তাই তৃণমূল ভাঙিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে দলে আনতে মরিয়া বিজেপি।
বাংলায় বিজেপির মুখ হবে কোন তৃণমূলের নেতা, এমনটা যে শুধু মুকুল রায় বা বাংলার বিজেপির নেতারা মনে করেন তাই নয়, এমন ধারণা বাংলায় বিজেপির মুখ হিসেবে শুভেন্দুর নাম নিয়েছিলেন অমিত শাহ ও। নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ তিনি বলেছিলেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে।এমন কাউকে দরকার যে মাটির কাছাকাছি একজন হবে। তেমন কেউ যে বিজেপিতে নেই, ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মুকুল রায় যবে থেকে দলে
এসেছেন তবে থেকেই শুভেন্দুকেও দলে আনার ফাঁদ পাতা হচ্ছে, কিন্তু কিছুতেই ফাঁদে পা দেননি শুভেন্দু।
শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনের অমিল হলেই বিজেপি ফাঁদ পেতেছে তবে ফাঁদে ধরা দেননি শুভেন্দু।
শুভেন্দুকে কিছুতেই জালে আনতে পারছেন না কেউ। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিকেও নিজের পেছনে ঘোরাচ্ছেন পাশাপাশি দূরত্ব বজায় রাখছেন দুই দলের সঙ্গেই। নিজের মতো করে জনসংযোগ চলছে তাঁর, বিভিন্ন জেলায় তাঁর অনুগামীরা শুভেন্দুর প্রচার চালাচ্ছেন।