ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ করেন জাগ্রত মা শ্মশান কালী
মানুষ যখন মারা যায় তখন দাহ করা হয় শ্মশানে, পবিত্র এই স্থানে আমরা দেখি কালী মায়ের মন্দির থাকে। মৃত্যুর পর মায়ের চরণে স্থান নিয়ে আত্মা শান্তি লাভ করে।
শ্রীরামপুর শ্মশানের মা কালী খুব জাগ্রত বলে সবাই মানে।
শ্রীরামপুরে শ্মশানঘাটের পাশ দিয়ে বয়ে চলা গঙ্গা নদীর পাশেই মা কালীর মন্দির, এই মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে আসে মায়ের ভক্তরা। শ্মশান কালী মায়ের পুজোয় লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই মন্দিরে মায়ের দর্শনে যায়। অনেকেই বিশ্বাস করেন এখানের মা কালী ভীষণ জাগ্রত, ভক্তের সমস্ত মনস্কামনা মা পূরণ করেন।
বহু প্রাচীন এই মন্দিরে মায়ের পুজো সংঘটিত হচ্ছে বিগত ১৬০ বছর ধরে। নারকেল ফাটিয়ে শুরু হয় পুজো, বরণ পর্ব হয় তিনটি ভাগে, মায়ের পূজা শুরু হয় চন্ডীপূজা দিয়ে। যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান, রীতি নীতি মেনে সকাল ৭ টা থেকে শুরু হয় সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত চলে মায়ের পুজো ।
সর্বজনীন শ্মশান কালী পুজো কমিটির পরিচালনায় মন্দিরে পুজো হয়। স্থানীয় ক্লাব সবুজ সংঘ এবং সৌরভ সংঘ এর সদস্যদরাও সাহায্য করে মায়ের পুজোয়।
পুজোর পর মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মায়ের আশীর্বাদ, পুজোর প্রসাদ ভাগ করে দেওয়া হয় শ্রীরামপুর অয়ালস হাসপাতাল, শ্রীরামপুর টিবি হাসপাতাল, চেসারস হোম ও শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে।