দীর্ঘ সময় পর লকডাউন ধীরে ধীরে উঠে আবার সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে, খুলেছে অফিস, দোকান পাট, শপিংমল, রেস্তোরাঁ , এই পরিস্থিতিতে যৌনপল্লিও খুলছে মহারাষ্ট্রে । বহু নিয়ম, বিধিনিষেধ মেনেই খোলা হবে যৌনপল্লি, যেহেতু মহারাষ্ট্রেই করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে সেই জন্য নানা সর্তকতা মেনে খোলা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বুধওয়াড় পেঠ এলাকার যৌনপল্লি।
লকডাউনে কাজ হারিয়েছিল প্রায় তিন হাজার যৌনকর্মী ।
প্রবল অর্থকষ্টে গ্রামের বাড়ি ফিরে যান তারা, আশ্রয় নেয় অন্যত্র, লকডাউন শিথিল হওয়ায় শুরু হচ্ছে কাজ, ফিরছেন তারাও। তবে শারীরিক মিলন বন্ধ থাকবে, আপাতত চলবে ফোন সেক্স।
সহেলি সঙ্ঘ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তেজস্বী সেবাকারী জানিয়েছেন, যৌনকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং বিশেষ কিছু বিধি নিষেধের সাথেই শুরু হচ্ছে কাজ।
মহারাষ্ট্রে করোনার তীব্রতা সবচেয়ে বেশি তবে এই এলাকায় নেই কোনো আক্রান্ত, কিন্তু তাও বেশিরভাগ যৌনকর্মীই কাজে ফিরতে অনিচ্ছুক। কষ্ট হলেও করোনা যাতে না হয় সেটাই চান তারা। আবার তাদের একটি অংশ অর্থ সঙ্কটে শুরু করে দিয়েছেন কাজ। বাধ্যতামূলক হয়েছে মাস্ক, গ্লাভসের ব্যবহার। নিয়ম মেনে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে সব ঘর।
অডিও ভিডিও ক্যাপসুল তৈরী করে এসব প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যৌনকর্মীদের। পাড়ায় ঢোকার মুখে ছাড়াও ঘরের বাইরে থার্মাল স্ক্যানারও বসানো হয়েছে অনেক কর্মীর, বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার ডিসপেন্সার।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী খদ্দেরদের স্নান করতে হবে আগে, করোনার উপসর্গ থাকলে ঢুকতে দেওয়া হবে না তাদের। তবে এত বিধি নিষেধ মেনে করোনার আবহে আদেও খদ্দের এর দেখা মিলবে কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে তাই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও চাইছে আপাতত যৌনকর্মীরা জোর দিক ফোন সেক্সের উপরে।
প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের যাঁরা এবার ভার্চুয়াল যৌন ব্যবসা করবেন।