করোনা আবহে সমস্ত নির্দেশিকা মেনে পুজো হবে সোনাগাছি তে
প্রতিবন্ধকতা এসেছিল আগেও, হার না মেনে লড়ে গেছেন তারা, অর্জন করেছে পুজোর অধিকার। প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাদের লড়াই থামেনি তারা করোনার কাছেও হার মানতে রাজি নয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সোনাগাছিতে শুরু হয়েছিল মণ্ডপ সজ্জা, আলোকসজ্জা, ধুমধাম করে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো , দুর্বারের মেয়েরা এবারও সমস্ত বিধি নিষেধ মেনেই করবে দুর্গাপুজো। প্রতিবছরের মতো এবছরও মা আসবেন তাদের কাছে।
এশিয়ার বৃহত্তম সোনাগাছি যৌনপল্লীতে কোনো একসময় কাজ করতেন প্রায় ৭০০০ কর্মী, প্রতিদিন খদ্দের এর সংখ্যাটা ছিল প্রায় ২০ হাজার, আজ করোনা আবহে সোনাগাছির কর্মীদের ব্যবসা বন্ধ বহুদিন। হাজার হাজার মেয়ের কাজ নেই, প্রথমে পুজো বন্ধ রাখার কথা ভাবলেও পুজো বন্ধ হবেনা বলেই জানিয়েছে দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি।
প্রতিবছর পুজোর ভোগের জন্য ১০ টাকা করে চাঁদা তোলা হলেও এবছর এক টাকাও চাঁদা তোলা হবে না।
প্রতিমার জন্য ইভেন্ট প্ল্যানার কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে, সেই সংস্থা প্রতিমা দিলে চিন্ময়ী মূর্তিতে পুজো হবে নইলে হবে ঘটপুজো।
এবার দুর্বারের পক্ষ থেকে পুজোর সমস্ত খরচ বহন করা হবে, সমস্ত নির্দেশিকা মেনে হবে পুজো।