এটি গত দুদিন ধরে আমাদের পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া আর্টিকেল “কেমন কাটলো 2020” এর তৃতীয় পর্ব… যারা যারা প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বটি পড়েননি বা পড়তে চান তারা এই লিংক এ ক্লিক করুন click here..
স্বস্তিকা দত্ত: পার্সোনালি প্রতি বছরের মতো এই বছরটাও একই রকম কেটেছে। পরিবার সঙ্গে ছিল, নিজের সঙ্গে ছিলাম,যেকোনো পরিস্থিতিতেই নিজের সঙ্গটা কখনো ছাড়িনি। কাজের দিক থেকে দর্শকদের অনেক ভালোবাসা, আশীর্বাদ পেয়েছি। আমার কাজ নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা সব মিলিয়ে মিশিয়ে বেশ ভালোই কেটেছে। ব্যতিক্রম একটাই এই বছর আমাদের জীবনে Covid এন্ট্রি নিয়েছে। যারফলে পূজোয় জামা কাপড় কম মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বেশি কিনেছি। কিন্তু মানসিক দিক থেকে খুব একটা ভালো ছিলাম না, চারিপাশে যা ঘটছিল সে সব দেখে অনেকটাই ডিস্টার্ব ছিলাম। চোখের জল অনেকটা বেশী ঝরিয়েছে এই বছরটা। যেমন চোখের জল ঝরিয়েছে তেমন অনেক কিছু শিখিয়েছেও, যেমন আমি ভীষন সঞ্চয় করতে ভালোবাসি, সঞ্চয় করিও, কিন্তু এই বছরটা আমাকে আরো বেশি সঞ্চয় করতে শিখিয়েছে।
অমিত মিত্র: 2020 বছরের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল, জানুয়ারী 3 তারিখ “অসুর” রিলিজ করলো, অসুর সুপার হিট হলো সাথে অসুরের গান গুলোকেও মানুষ যথেষ্ট ভালোবাসা দিল। সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে পরিচিত বাড়তে লাগলো। বেশ কিছু কাজ শুরু হচ্ছিল এমন সময় শুরু হলো আমাদের অসহ্য যন্ত্রণার দিন, লকডাউন শুরু হয়ে গেলো, ব্যাস সব কাজ স্থগিত হয়ে পড়লো। অনেক মানুষ নিজের কাজ হারিয়েছে। কত পরিচিত মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, কত পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রাণ হারিয়েছে বাড়ি ফেরার তাগিদে। এই সবকিছুর মাঝে ভীষণ অস্বস্তি বোধ করছিলাম। তার মাঝেও বাড়িতে বসে টুকটাক কাজ করছিলাম। কিছু মিউজিক ভিডিও পরপর করেছি। এই সবকিছু নিয়েই চলছে, কিন্তু সিনেমার সবকাজ আপাতত বন্ধ আছে। আর মাত্র কিছু মুহূর্ত, তারপর আমরা 2020 কে বিদায় জানাবো। কিন্তু একটা জিনিস সেটা হলো, এই বছরটা থেকে অনেক কিছু পেলাম, তেমনি হারালাম। অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে গেলো এই বছরটা, সেই শিক্ষা নিয়ে 2021 কে স্বাগত জানাই। তোমরা সবাই ভালো থেকো, সুস্থ থেকো। বেশি বেশি করে বাংলা গান শুনো, বাংলা গানকে সাপোর্ট করো, আমার কাজকে ভালোবেসো, আমাকে এই ভাবেই সাপোর্ট করো।
প্রস্মিতা পাল: এমন একটা ব্যতিক্রমী বছর ছিল 2020, যা নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে গল্প বলা যাবে। ভালো মন্দ দুইয়ের মধ্যে দিয়েই কেটেছে এই বছরটা। ভালোর মধ্যে ছিল “work from home” যার ফলে পরিবারের সাথে অনেকটা সময় কাটাতে পেরেছি। যেটা সবসময় সম্ভব হয়ে উঠতো না। এই বছর পুজোটাও বাড়িতে বসে কেটেছে যেটা আমার তথা সবার কাছেই ভীষণ অপছন্দের। আর খারাপ এর মধ্যে, এত মানুষকে খারাপ থাকতে দেখেছি যা দেখে নিজের ভালো থাকাটা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সব লাইভ শো বন্ধ, যদিও এখন কিছু কিছু করে আবার সব শুরু হয়েছে, কিন্তু পুরোপুরি ভাবে এখনো সবকিছু স্বাভাবিক হতে হয়তো আরো একটা বছর লেগে যাবে। আমার পরিচিত অনেক মিউজিসিয়ান ও টেকনিশিয়ান বন্ধুরা এখনো অনেক সমস্যার মধ্যে আছেন। সেটা দেখেও খুব খারাপ লাগে। আমি আশা করি আমরা একসাথে এই পরিস্থিতিকে কাটিয়ে উঠবো, এবং তার জন্য আমাদের সবাইকে মানসিক ভাবে শক্ত সমর্থ্য থাকতে হবে। এটা আমাদের মনে রাখতে 2020 চলে যাচ্ছে কিন্তু Covid যাচ্ছে না।
দিয়া রায় চৌধুরী: 2020 আমার খুব ইন্টারেস্টিং ভাবেই কেটেছে বলা যায়। বাড়ি থেকে বেরোতে পারিনি। স্বচ্ছন্দে যেখানে সেখানে যেতে পারিনি, মানুষের সাথে স্বাভাবিক ভাবে মিশতে পারিনি, লাইভ শো হয়নি বলেই চলে। এখন যদিও ধীরে ধীর স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু। এইসব নেগেটিভ দিক ছাড়াও অনেক পজিটিভ কিছু পেয়েছি এই বছর। সব থেকে আনন্দের বিষয় হলো পরিবারের সাথে অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি এই বছর, যেটা সচরাচর ব্যস্ত জীবনে হয়ে ওঠে না।
এই বছর রেকর্ডিং এর সব কাজই প্রায় বাড়ি থেকে করেছি। তাই নিজের বাড়িতেই ছোটো করে একটা স্টুডিও সেট আপ করে নিয়েছি, সাথে রেকর্ডিংয়ের অনেক কিছু শিখেছি। নিজে ক্যামেরা অপারেট করে ভিডিও এডিটিং করতে শিখেছি। নিজেকে সময় দিয়েছি। চারিপাশের পরিবেশ নিয়ে সচেতন হয়েছি।
সেলেব্রিটিদের 2020 সাল কেমন গেলো তা তো জানলেন, এবার আপনাদের পালা, আপনাদের ভালোবাসা আছে বলেই এবিও পত্রিকা অনেক সংঘর্ষ কাটিয়ে 2020 থেকে পা দিতে চললো 2021 এ. তাই এবিও পত্রিকার পক্ষথেকে সকল পাঠক বৃন্দকে জানানো হলো শুভ ইংরেজি নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা. অপেক্ষায় রইলো এবিও পত্রিকা জানার জন্য আপনাদের কেমন কাটলো 2020 , আমাদের এই পোস্ট এর নীচের কমেন্টে জানান আপনার কেমন কাটলো 2020 ? এই আর্টিকেল এর শেষ পার্টটি লেখা হবে আপনার কথা নিয়ে. আপনার অভিজ্ঞতায় দেখা 2020 কে আমরা তুলে ধরবো আমাদের সমগ্র পাঠকদের সামনে. কমেন্ট করার শেষ তারিখ 5th জানুয়ারী..