অবসাদে আত্মহত্যা হোস্টেলের জুনিয়র ডাক্তারের
হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল এক জুনিয়র চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ। আত্মঘাতী ওই ডাক্তারের নাম মানসী মন্ডল। হস্টেলের ঘরের ভিতর দিয়ে দরজা বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আহমেদ ডেন্টাল কলেছের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। জানা গিয়েছে দীর্গদিন ধরে তিনি অবসাদের শিকার ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া একটা নাগাদ বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে আত্মঘাতী ডাক্তারী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা এন্টালি পুলিশ। সঙ্গে ঘরে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়। এটিতে লেখা ছিল, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। জীবনের প্রতি তার আসক্তি হারিয়ে গিয়েছে তার। স্বামী বেঙ্গালুরুতে থাকেন। মার্চ থেকে দেখা হয়না একথাও তিনি জানিয়েছেন বন্ধু বা রুমমেটদের কাছে।
সুত্রে খবর, এদিন সকালে সোয়া ৯ টা নাগাদ বন্ধুদের ফোন করে তিনি জানান যে কয়েকটি ওষুধ খেয়ে কলেছে আসতে তার দেরী হবে। তারপর তার কোন পাত্তা পাওয়া যায়না। অন্যদিকে তাকে কলেজে আসতে না দেখে খোজাখুজি শুরূ করেন তার বন্ধুরা। হস্টেলের ঘরে এসে দরজা খুলতে পারেন না লেডিস হোস্টেলের সুপার। এরপর খবর যায় কলেছ কতৃপক্ষের কাছে। আর সেই সময় ডেন্টাল কলেজকে করোনা হাসপাতাল করার বৈঠক চলছিল। এদিকে সুপারের কাছে খবর পেয়ে ছুটে আসেন সকলে। খবর দেওয়া হয় এন্টালি থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে। এরপর অনেক ডাকাডাকি পর সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে মানসীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
কলেজ সুত্রে খবর, তিনি পুরুলিয়ার নর্থ বেঙ্গল ডেন্টাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য এই কলেজে সুযোগ পান। আহমেদ ডেন্টাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি।