উমা ফিরে গেছেন কৈলাসে, কিন্তু পুজোর কদিনে হুগলীতে কতটা বেড়েছে করোনা সংক্রমণ, প্রশ্ন সেটাই।
ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সংক্রমণ বেড়েছে অনেকটাই, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ষষ্ঠী থেকে দশমীতে ১০০৯ জন সংক্রামিত হয়েছেন। অর্থাৎ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০১.৮% , সেপ্টেম্বরের তুলনায় বেড়েছে সংক্রমণ, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর যেখানে সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৬০৭ জন,
সেখানে একমাস পর ১৭ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সংক্রমিতের সংখ্যা ১৯২৯ জন।
পুজোর মরশুমে শপিং থেকে প্যান্ডেল হপিং, মানুষের ভিড় বাড়লে সংক্রমণ যে হু হু করে বাড়বে আগেই সন্দেহ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে চিকিৎসকদের সতর্কতাবানী, হাইকোর্টের নির্দেশ, পুলিশ প্রশাসনের চেষ্টায় পুজোয় তেমন ভিড় বাড়তে পারেনি। পুজোয় মানুষ সচেতন হওয়ায় সংক্রমণে অনেকটাই রাশ টানা গেছে বলে মনে করছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
তবে পুজোর সময় ঠিক কত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তা বোঝা যাবে নভেম্বরের প্রথম দিকে, শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করার কয়েকদিন পরে লক্ষণ দেখা দেয়, তারপর পরীক্ষা করে বুঝতে অনেকটাই সময় লাগে৷
তবে দুর্গাপুজোয় রাশ টানা গেলেও সামনেই কালী পুজো, ছট পুজো,জগদ্ধাত্রী পুজো, এই সময়ে সতর্ক থাকা ভীষণ জরুরী, সবসময় মাস্ক পড়ে সমস্ত করোনাবিধি মেনে চলতে হবে গোটা উৎসবের মরশুমে৷
অপরদিকে হুগলিতে কোভিড হাসপাতালে এখনো আইসিইউ শয্যার সংকট বর্তমান। আইসিইউ শয্যা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর পরিবারের লোক বুঝতে পারছেন না কি করবেন৷