মাত্র ২৫ বছরে শহিদ হলেন বাংলার তরুণ
ভারত-চিন সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে রাজেশ ওরাং নামে
বাংলার এক তরুণ শহিদ হলেন। লাদাখে ভারত-চিন সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে শহিদ তরুনের বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর, বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার ভুতুড়া গ্রামের বাসিন্দা। অভাবের সঙ্গে ছিল নিত্যদিনের সংঘর্ষ, তার মধ্যেই সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়ে সকলের গর্ব ছিলেন রাজেশ ওরাং।
২০১৫ সালে ১৪৫ বিহার রেজিমেন্টে যোগ দেন।
রাজেশ ওরাং মহম্মদ বাজারের মালাডাং হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন, উচ্চমাধ্যমিকের পর তিনি সিউড়ির Bidyasagar college ভর্তি হন, সম্পূর্ণ হয়নি graduation, তার আগেই সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগ দেন রাজেশ ওরাং।
২০১৫ সালে আর্মিতে যোগ দেয় রাজেশ ওরাং, প্রথম পোস্টিং ছিল জম্মু কাশ্মীরে, তারপর দুবছর ধরে ছিল লাদাখে জানিয়েছে তাঁর ভাই অভিজিৎ। বাড়িতে শেষ এসেছিলেন আট মাস আগে, তাঁর ভাই জানান গালওয়ান উপত্যকায় যাওয়ার আগে রাজেশ ওরাং বাড়িতে বলেন বেশ কিছুদিন যোগাযোগ করা যাবে না ফোনে। বাড়িতে আসার কথাও ছিল, লকডাউনের কারণে আসতে পারেনি। অশ্রুসিক্ত চোখে এসব বলেন রাজেশ ওরাং এর ভাই।
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় তাঁর মৃত্যু হয় ,
পরিবারের তরফে জানা গেছে
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের কাছে খবর আসে রাজেশ ওরাং যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন।
শকুন্তলা ওরাং অর্থাৎ শহিদ রাজেশ ওরাং এর বোন জানিয়েছে দুই সপ্তাহ আগে তাদের সাথে শেষবার কথা হয় রাজেশ ওরাং এর। পরিবারের জন্য চিন্তা করতেন, চিন্তা করতেন বাবা মা কে নিয়ে, করোনার কারণে ঘরেই বেশি থাকতে বলতেন, এবং বাইরে গেলে যেন অবশ্যই মাস্ক পরে বেরোয় বাবা সেটাও বলতেন, এমনটাই জানিয়েছেন তার বোন, রাজেশ ওরাং এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভুতুড়া গ্রাম। গ্রামবাসীরা সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে যেন তার পরিবারকে সাহায্য করা হয়, কারণ রাজেশ ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে৷ রাজেশ ওরাং এর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।