মেয়েকে বিক্রির গুজবে উত্তরপ্রদেশে গনপ্রহারে মৃত্যু
লকডাউনে ভাটা পড়ায় ঠিকঠাকমত ব্যবসা চলছিল না। তাই পড়াশুনার খরচ চালাতে পারছিলেন না সেই জন্য নয়ডায় এক আত্মীয়র বাড়িতে রেখে আসেন মেয়েকে। অন্যদিকে পাড়ায় রটে যায় তিনি মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে রবিবার এলোপাথারি মারধর করে পাচ ব্যক্তি। সেই কারনে সোমবারে গুরুতর আঘাতে মারা যান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরীতে। মারধরের ভিডিও আপলোড করেই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকে বিধেছেন বিরোধী পক্ষের নেতা নেত্রীরা।
এই ঘটনার কথা স্বীকার করে স্থানীয় পুলিশ সুপার অজয় কুমার জানান,” এই মৃত্যুর ঘটনায় ৩০২ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।”
বছর ৪৫ এর মৃত ব্যক্তির নাম সর্বেশ দিবাকর। উত্তরপ্রদেশের সিরসাগঞ্জের মৈনপুরীতে ভাড়া থাকতেন তিনি। তিনি কেক পেস্ট্রি তৈরী করতেন ও তার মেয়ে গৃহস্থলীর কাজ চালানোর পাশাপাশি একটি স্কুলে পড়তেন। কিন্তু লকডাউনের জন্য তার ব্যবসা তলানিতে যাওয়ায় মেয়ের স্কুলের খরচ চালাতে পারছিলেন না তিনি। সেই কারনে নয়ডার এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেয়েকে রেখে আসেন তিনি।
কিন্তু সম্প্রতি গুজব ছড়ায় যে দিবাকর তার মেয়েকে বিক্রি করেদিয়েছে। সেই কথা শুনে জনাপাচেক তার বাড়ির ছাদে গিয়ে রড লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করেন তাকে। আর এলাকার এক বাসিন্দা দুর থেকে ভিডিও করেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মার খেতে খেতে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন তিনি। তবুও মারের হাত থেকে নিস্তার নেই। এরপর ছাদ থেকে মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকেন তিনি। তবুও মার কমেনি। এমনকি তাকে হাসপাতালে নিয়েও যান না কেউ। পুলাশ এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে ও চিকিৎসকরা তার মৃত্যু ঘৌষনা করেন