বকরি ঈদে যে বছর কোরবানি দেওয়া হবে না সেই বছর হিন্দুরাও দিওয়ালিতে বাজি ফাটাবে না, ফের বিতর্কিত মন্তব্য সাক্ষী মহারাজের
গত মাসেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নাম উঠে এসেছিল উন্নাওয়ের লোকসভার সাংসদ সাক্ষী মহারাজের।
তিনি মন্তব্য করেছিলেন কোনও গ্রামে একটিও যদি মুসলিম পরিবার থাকে সেখানে অনেকটা স্থান জুড়ে থাকে কবরস্থান। আর সেই গ্রামে যদি বেশিরভাগ হিন্দু হয় তাতেও তাদের জন্য শ্মশান থাকে না। তখন হিন্দুদের মৃতদেহ দাহ করার জন্য ক্ষেত বা নদীর ধারকেই বেছে নেওয়া হয়। তীব্র প্রতিবাদী সুরে তিনি আরও বলেন হিন্দুদের ধৈর্য এবং সহ্যের যেন পরীক্ষা না নেওয়া হয়। হিন্দুদের ধৈর্যের বাঁধ যদি ভেঙে যায় তাহলে বিপদ হতে পারে।
বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যেই আবার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরে উঠে এসেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, বকরি ঈদে যে বছর কোরবানি দেওয়া হবে না সেই বছর হিন্দুরাও দিওয়ালিতে বাজি ফাটাবে না। যতদিন না এমন হচ্ছে ততদিন যেন কেউ পরিবেশ দূষণ নিয়ে জ্ঞান না দেয়।
তার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে অনেকেই তার বক্তব্যকে অসহিষ্ণু মন্তব্য করেছেন কিন্তু নিজ বক্তব্যে অনড় তিনি।
এটাই প্রথম বা দ্বিতীয়বার নয় এর আগে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সাক্ষী মহারাজ। তবে এবার তিনি যা বললেন তাতে শুধু যে ধর্ম জড়িয়ে আছে তাই নয় এবার তার বক্তব্যের সাথে জড়িয়ে আছে মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ।
করোনা কালীন পরিবেশে এবছর একাধিক রাজ্যে দিওয়ালিতে বাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।কারণ করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে বাজির ধোঁয়া ভীষণ বিপদজনক।