স্ত্রীয়ের যে সম্পর্ক আছে তা আন্দাজ করেছিলেন আগেই,তারপরেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি। কিন্তু প্রমাণ মিলছিল না কিছুতেই, তবে এবার হাতে না হাতে স্ত্রী এবং তার প্রেমিককে ধরে স্বামী শুরু করে দিলেন প্রহার।
স্ত্রীর পাশাপাশি বউ এর প্রেমিককেও রাস্তার উপরেই মারতে থাকে এক ব্যক্তি। নিজের দাদাকে সঙ্গে নিয়ে বউকে শায়েস্তা করলেন স্বামী।
বছর তিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল পালওয়ালের অসহবতী গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সাথে ফিরোজপুরের কালান গ্রামের এক মহিলার। বিয়ের আগে থেকেই ওই মহিলার সম্পর্ক ছিল এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের পরেও স্ত্রী বিশ্বাস রক্ষা করেননি, সম্পর্ক চালিয়ে যায় নিজের প্রেমিকের সাথে। ঘটনাটি জানতে পেরে যায় ওই মহিলার স্বামী। শুরু হয়ে যায় অশান্তি। ওই ব্যক্তি জানিয়েছে এটাই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার তার স্ত্রী নিজের প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গেছে।
একবার ওই মহিলা বেশ কিছুদিনের জন্য প্রেমিকের পালিয়ে অন্যত্র ছিলেন বলে জানান ওই ব্যক্তি। তবে দম্পতির উভয়ের পরিবার আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপারটি মিটিয়ে নেয়।
কিছুদিন আগে ওই মহিলা বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন বাবার শরীর অসুস্থ জেনে।
ওই ব্যক্তি শ্বশুরের শরীর কেমন আছে জানতে শ্যালককে ফোন করে এবং জানতে পারে বাজার করতে তাঁর স্ত্রী গেছে বল্লভগড়। সেই সময় ওই ব্যক্তির এক খুড়তুতো ভাই তাকে ফোন করে জানান, তাঁর স্ত্রী অন্য পুরুষের সাথে ঘুরছেন।
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছান ওই ব্যক্তি। ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খুঁজতে থাকেন স্ত্রীকে। এবং অবশেষে স্ত্রীর খোঁজ পান, জানতে পারেন প্রেমিকের সাথে একটি হোটেলে ছিলেন তার স্ত্রী। সাথে সাথে ভাই কে নিয়ে রাস্তায় নামিয়ে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে মারধর শুরু করেন।
এই দৃশ্য দেখে রাস্তায় লোকের ভিড় দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সকলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।