সুস্থ থাকতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কমান লিভারের অতিরিক্ত চর্বি
আজকাল আধুনিক লাইফস্টাইল ও ফাস্টফুড অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়ার ফলে অনেকেই ফ্যাটি লিভার রোগে ভোগেন। এর ফলে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে এবং ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরনে বাধা সৃষ্টি হয়। আর অতিরিক্ত ফ্যাট মূলত ট্রাইগ্লিসারাইড লিভারের কোশগুলিতে জমে ফলে মোট ওজনের তুলনায় এর ওজন ৫ – ১০ শতাংশ বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসই মূলত এই রোগের জন্য দায়ী। অ্যালকোহল সেবনকারী ও স্থূল ব্যক্তিদের এই রোগে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ৭৫%। নারী পুরুষ উভয়েই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি এরকম পরিস্থিতিতে লিভার ক্রমশ ফুলতেও শুরু করে ফলে লিভারেমেদ জমা যদি সঠিক সময়ে আটকানো না যায় তা হলে তা রোগীর মৃত্যুর কারনও হতে পারে।
লিভারের চর্বি জমার কারনগুলিকে প্রতিরোধের মাধ্যমেই প্রতিকার সম্ভব কারন এই রোগের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ থেকেও দ্রুত প্রতিকার সম্ভব। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যা অনুসরন করলে খুব শীঘ্রই এই রোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব।
লেবুর রস – প্রতিদিন নিয়ম করে লেবুর রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে যা লিভারকে টক্সিনমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি – প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে নিয়ম করে গ্রিন টি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি লিভার ফাংশনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনিগার – এক কাপ গরম জলে কয়েক ফোটা আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিয়মিতভাবে খেলে কয়েক মাস পর বুঝতে পারবেন এর মাহাত্ম্য।
আদা জল – এক চামচ আদা গরম জলে মিশিয়ে দিনে দুবার করে খান। অন্তত ১৫ দিন এই ডায়েটের অভ্যাস করুন।
আমলার রস – আমলায় উপস্থিত ভিটামিন সি লিভারের ফ্যাট জমতে রোধ করে।যদি টানা ২৫ দিন এক চামচ করে আমলার রস সকালে খেতে পারেন তা হলে খুব শীঘ্রই পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।