ফের করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন শ্রীরামপুর বিদায়ী বোর্ডের ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সদস্য পিনাকী ভট্টাচার্য্য। বুধবার বেলা এগারো নাগাদ বাইপাসের ধারে বেসরকারী হসপিটালে মারা যান বয়স ৬৯ এর পিনাকীবাবু। শ্রীরামপুরের রাজনীতিতে তিনি স্বখ্যাত গুন্ডাদা নামে পরিচিত ছিলেন।
গত ১৭ ই জুন করোনা ধরা পড়ে এই বর্ষীয়ান তৃনমুল নেতার। এরপর তাকে কলকাতার একটি বেসরকারী হসপিটালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে পিনাকীবাবুর স্ত্রী ও পুত্রও আক্রান্ত হন। অবশ্য তারা সুস্থ হয়ে ফিরে এলেও ক্রমশই তার শরীরের অবনতি ঘটতে থাকে। এরপর কয়েকদিন আগে তাকে কলকাতার বাইপাসে একটি হসপিটালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাকে সেখানেও দুবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
আর এর মধ্যেই ১৫ থেকে ২১ শে জুলাই শ্রীরামপুর পুরসভা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরসভার কর আদায় বিভাগের কর্মীও করোনা আক্রান্ত হন। তাকে ছোট বেলু এলাকার শ্রমজীবি হসপিটালে স্থানান্তরিত করা হয়। এছাড়া বিভাগের অন্যান্য কর্মীদেরও বাধ্যতামুলক ভাবে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়। আর সংক্রমন রুখতেই পুরসভা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এছাড়া করোনা সংক্রমন ছড়িয়েছে মহকুমা শাসকের দপ্তরে। শ্রীরামপুরের এসডিও সম্রাট চক্রবর্তীর নিরাপত্তারক্ষী সহ এক কর্মীসহ আক্রান্ত হন। তবে এখনি এসডিও অফিস বন্ধ রাখা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, আপাতত ১৪ দিনে ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এদিন মহকুমা শাসকের দপ্তর স্যানিটাইজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্যানিটাইজ করা হয় পুরসভা ভবনও।
এমনিতেই শ্রীরামপুর একটি ঘিঞ্ছি অঞ্চল। আর তার মধ্যই একের পর এক করোনা সংক্রমনে সাধারন মানুষের মধ্য আশঙ্কা বাড়ছে। এর আগেও শ্রীরামপুরের বেশ কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। শ্রীরামপুরের এক থানার সাব ইন্সপেক্টর করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন যদিও এখন তিনি সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন