২০১৩ সালে বাড়ি ছেড়ে দিল্লিতে ওঠেন সঞ্জু – শুরু হয় জীবনের কঠিন পথ চলা। অদম্য জেদ রেখে সফল হওয়ার লড়াই।
জীবন যেন তার নাট্যমেলা। বিয়ে এড়াতে বাড়ি থেকে পালান তিনি। এরপর তার কঠিন পথযাত্রা হয় শুরু। অদম্য জেদ রেখে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান মেরঠের বাসিন্দা সঞ্জুরানি ভার্মা।
আর পাচজনের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ছিলেন সঞ্জু। ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর পরিবারের বাকিরা পড়াশুনা ছৈড়ে বিয়ে করে সংসার করার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাজি ছিলেন না সঞ্জু, লক্ষ্য ছিল তার এবং স্বপ্ন দেখতেন তিনি অফিসার হওয়া। বাড়ির লোককে বুঝিয়ে বলেন তিনি যে আরও পড়াশুনা করতে চান। কিন্তু বাড়ির লোকেরা তা পাত্তা দেননা।
এরপর ২০১৩ সালে ঘর ছাড়েন সঞ্জু। দিল্লিতে এসে ওঠেন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন। তবে শুনতে অতটা সহজ লাগলেও বাস্তবে অতটাও সহজ না।
সঞ্জু রানির কথায়, ” বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমাকে পড়াশুনা ছাড়তে হয় টাকার অভাবে। ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়াতে থাকি। দিল্লির একটি স্কুলে আংশিক সময়ে শিক্ষকতা করতে থাকি। আর পাশাপাশি সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতিও চলছিল।”
মেরঠের আর জি কর কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করার পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর হন। সম্প্রতি ২০১৮ এর প্রভিন্সিয়াল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা উত্তীর্ণ করে উত্তরপ্রদেশের কমার্শিয়াল ট্যাক্স বিভাগে যোগদান করতে চলেছেন তিনি।
তভে এখানেই তার যাত্রা শেষ নয়। আরও এগোতে চান তিনী। ইউপিএস পরীক্ষায় বসতে চান তিনি। জেলাশাসক অবধি পৌছতে চান।