পুরীর রথের পর এবার বাতিলের আশঙ্কা শহরের পুজো
এমনিতেই এ বার শহরের দুর্গাপুজোয় জৌলুস তুলনায় অনেক কম হবে, ধরেই নিয়েছিল পুজো কমিটিগুলো। কিন্তু ভিড়ের কথা মাথায় এখনো বাকি চার মাস পুজোর। যদিও পুজোর আগে করোনা নির্মূল হবে কিনা সে নিয়ে যথেষ্ঠ অনিশ্চয়তা আছে। যদি মিরাক্কেল কিছু ঘটে সেটা আলাদা ব্যাপার। তার মধ্যে পুরির রথযাত্রা এই বছরের মতো স্থগিত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এই রায়ের পর পূজো নিয়ে যথেষ্ঠ অনিশ্চয়তা রয়েছে উদ্যোক্তাদের মনে। কলকাতার পূজো মানে ভিড়, একাধিক পুজোর প্রতিযোগিতা। পুজোর ক্লাব গুলির মধ্যে আশঙ্কা জাগছে পূজো নিয়ে, রথযাত্রার মত কলকাতার পূজো এক ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলছে। শোনা যাচ্ছে অক্টোবর নভেম্বর করে আরো সংক্রমন বাড়বে। এমনিতেই করোনা আবহে পুজোর অন্যবারের তুলনায় অনেক কম বাজেটে করার নির্দেশ আছে। দূরত্ববিধি বজায় রেখেই পূজো করাটা খুব জরুরি।
তবে এখনই হাল ছাড়তে রাজি নয় সন্তোষপুর লেকপল্লি পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ দাস। ‘ঠিক ভাবে পরিকল্পনা করতে পারলে ভিড় এড়িয়েও পুজো করা সম্ভব। দেখা যাক কী হয়। তবে এটা বলতে পারি, উৎসব না হলেও পুজো হবে।’ মুদিয়ালি ক্লাবের সদস্য মনোজ সাউ আবার ভিড় এড়াতে পুজোর আয়োজন ছোট করার কথাই জানিয়েছেন। সেটা আমরা চাই না।’ কুমোরটুলি সর্বজনীনের অন্যতম উদ্যোক্তা দেবাশিস ভট্টাচার্যের কথায়, ‘আমরা বুঝতে পারছি না, ঠিক কী করব। কারণ, এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি। আশা করছি সরকার থেকে আমাদের কিছু জানানো হবে। সেই মতো ব্যবস্থা নেব।