স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার, কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে করোনায় মৃতদেহদের দাহে শ্মশানে কাজ করছে দিল্লির বাসিন্দা চাঁদ মহম্মদ।
উত্তরপূর্ব দিল্লির সিলামপুরের বাসিন্দা চাঁদ, অভাবী সংসারে মায়ের চিকিৎসা থেকে বোনেদের স্কুল ফি, সমস্ত দায়িত্ব নিতে এই কাজই করতে হচ্ছে তাকে। এতদিন দাদার রোজগার থাকলেও লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন তার দাদা। প্রতিবেশী দের সাহায্যে আর নিজেদের সামান্য রোজগারে কোনওরকমে দিন কাটছিল,
ভয়, সংশয় সত্বেও মেডিসিন নিয়ে পড়তে চাওয়া, উজ্জ্বল এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন চোখে নিয়ে চাঁদ মহম্মদ মন দিয়েই দেহ সৎকারের কাজ করছে।
কয়েক সপ্তাহ আগে চাঁদ মহম্মদ দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ঝাড়ুদারের কাজ নিয়ে ঢোকে,১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকতে হত হাসপাতালে সেই সূত্রেই করোনাভাইরাসে মৃত সৎকারের কাজ পায়। চাঁদ জানিয়েছে ভীষণ দরকার ছিল একটা কাজের, রাস্তাই ছিল না অগত্যা ঝুঁকি নিয়েই পরিবারের অর্থাভাব কিছুটা লাঘব করতে,মায়ের ওষুধ,সকলের খাবার, বোনেদের স্কুল ফি, জোগাড়ে ভরসা এই কাজই। তার পরিবারের সকলেই খুব চিন্তিত তার কাজ নিয়ে।
সর্বশক্তিমানের উপরে ভরসা রেখে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন বেশ কয়েকটি দেহ সৎকারের এই কাজে তার পারিশ্রমিক মাসে ১৭ হাজার টাকা।
দেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া থেকে পুরো কাজ করতে হয় পিপিই পরে, ভারী পিপিই পরে কাজ করতে দমবন্ধ লাগলেও কষ্ট সহ্য করেই তাকে করতে হবে এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ।