বন্ধ বাড়ির থেকে উদ্ধার বাবা,মা ও ছেলের দেহ:
বাড়ির দরজার সামনে অনেক ডেকেও প্রতিবেশীরা সাড়া পায়নি এক বৃদ্ধ, তাঁর স্ত্রী এবং প্রতিবন্ধী ছেলের। এক প্রতিবেশী তাঁদের ঘরের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখেন মেঝের উপরে তিন জন চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছেন। মঙ্গলবার ঠাকুরপুকুর এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। লোকাল পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিন জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানায়, লকডাউনে পরিবারটি প্রবল আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিল।আর তার জেরেই এই ঘটনা কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানান, বাড়ির দেওয়ালে লেখা ছিল, পরিবারের লোকজন আত্মহত্যা করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে,বৃদ্ধের নাম গোবিন্দ কর্মকার (৮০),স্ত্রী রাণু কর্মকার (৭০) এবং ছেলে দেবাশিস কর্মকার (৫০)। গোবিন্দবাবু ও রাণুদেবীর একমাত্র ছেলে দেবাশিসবাবু জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, তিন জনই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঠাকুরপুকুর থানার সত্যনারায়ণ পল্লি এলাকার ওই বাড়িতে ঘটে ঘটনাটি।এইদিন পুলিশ সকাল সাতটা নাগাদ ওই বাড়ির দরজা খুলতেই তিন জনের দেহের পাশে একটি কাপ দেখতে পায়। ওই কাপের মধ্যে একটি কাগজ পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, কাগজে লেখা ছিল, ‘‘এখানে বিষ আছে, কেউ হাত দেবেন না।’’
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন গোবিন্দ বাবু।তবে সংস্থাটি বহু দিন আগে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গোবিন্দবাবু ও তাঁর পরিবার প্রবল আর্থিক কষ্টে ভুগছিলেন।গত কয়েক বছর ধরে বৃদ্ধ ঘড়ি মেরামতির কাজ করছিলেন। কিন্তু লকডাউনের জন্য সেই কাজও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আরও চাপের মধ্যে পড়েন তিনি ও তার পরিবার। দিন চারেক আগে তাঁর স্ত্রী হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন। তার উপরে প্রতিবন্ধী ছেলে কোনও কাজ করতে না পারায় চরম মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই পরিবারটি।
কলকাতায় বন্ধ ঘরে রহস্য জনক মৃত্যু পরিবারের তিন সদস্যের
- Advertisment -