স্বপ্নে মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েই রানী রাসমণি স্থাপন করেছিলেন মা ভবতারিণীর মন্দির।
বর্তমানে দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, আদ্যাপিঠ এ মায়ের মন্দির গুলি ভক্তদের গন্তব্য স্থলে পরিণত হয়েছে। শুধু কালীপূজা উপলক্ষে নয়, ভক্তদের মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যেও ভক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কথিত আছে রানী রাসমণি মা ভবতারিণীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
কিন্তু মা ভবতারিণীর মুখের আদল কেমন হবে সে নিয়ে সংশয় ছিল। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সেই জটিলতা কেটে গেলো। ১৮৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মা ভবতারিণী মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হন। কিন্তু তার আগে রানী রাসমণি এসে উপস্থিত হন শেওড়াফুলিতে। তিনি এসে শেওড়াফুলির মা নিস্তারিনী কে দর্শন করেন। মা নিস্তারিনীর মুখটি রানী রাসমণি কে এতটাই প্রভাবিত করেন যে, তিনি আদেশ দেন মা নিস্তারিনীর মুখের আদলেই তৈরি হবে দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণীর মন্দির।
দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণীর মন্দির প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস এর জৈষ্ঠ্য ভ্রাতা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়। মা ভবতারিণীর মন্দিরের প্রথম এবং প্রধান পুরোহিত ছিলেন রামকুমারই। সেই রাম কুমারের হাত ধরেই গদাধরের দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে আগমন।
এই গদাধরের ইচ্ছায় বৃহস্পতিবার স্নান যাত্রার দিন ১৮৫৫ সালে ৩১ শে মে দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণীর মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়।
এরপরই ১৮৫৭-৫৮ সালে কিশোর গদাধর দক্ষিণেশ্বরে পূজার ভার গ্রহণ করেন, যা পরবর্তী কালে গদাধরের সাধন ক্ষেত্রে পরিণত হয়।