দুর্নীতির অভিযোগ চুঁচুড়া পুরসভার নিয়োগে,
হতে পারে দুর্নীতি, এমনটাই আশঙ্কা ছিল বিরোধীদের,
আর সেই আশঙ্কা সত্যি হওয়ায় হুগলির চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগের ফলাফল বেরোনোর পর স্বজনপোষণের
ঘটনা উঠে আসায় এর প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বামেরা৷
গত ১ মার্চ চুঁচুড়া পুরসভায় পরীক্ষা হয় মজদুরের ৬৭টি শূন্যপদ এবং পিওনের ৭টি শূন্যপদের জন্য। রাজ্যের প্রায় ১২,০০০ বেকার যুবক যুবতী পরীক্ষায় বসেন, শহরের সাতটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয়।
৪ মার্চ প্রকাশিত হয় ৪১৩ জনের নামের প্রথম তালিকা।
এরপর সেই দিনই আরেক তালিকায় প্রকাশিত হয় আরও ৬ জনের নাম।
৬ মার্চ আবারএকটি তালিকা প্রকাশিত হয় যেখানে ২০ জনের নাম যোগ করা হয়।
প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায় মজদুরের পদে চাকরি পেয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত বিদায়ী বোর্ডের কাউন্সিলার সৌমিত্র মালাকার। পিওন পদে চাকরি পেয়েছেন কাউন্সিলর জয়দেব অধিকারীর ছেলে।
তবে সৌমিত্র মালাকার এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন চাকরি পেয়েছেন পরীক্ষা দিয়ে, ইন্টারভিউ দিয়ে, এবং যে পদে চাকরি পেয়েছেন সেই কাজই তিনি করবেন । উল্লেখ্য এই চাকরির জন্য তিনি মার্চ মাসে কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফাও দেন । ইতিমধ্যে চাকরিতেও যোগদান করেছেন সৌমিত্রবাবু এমনটাই জানা গেছে। তবে তাকে মজদুরের কাজে নয় বরং নিয়োগ করা হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
অপরদিকে কাউন্সিলর জয়দেব অধিকারী এব্যাপেরে বলেন কোনও কাজই ছোট নয়। তাই তাঁর ছেলে যে কাজ পেয়েছে সেই কাজই করবে। কাউন্সিলরের ছেলেরও চাকরির প্রয়োজন হতে পারে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
WhatsApp এ নিউজ-এর update পেতে ক্লিক করুন: https://chat.whatsapp.com/DWC7jMeq0HhIk7BexvC9np
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন বামেরা। শুক্রবার এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিবাদ জানিয়ে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিটু। প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যানের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, ভিত্তিহীন এই অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা হয়নি। যারা যোগ্য ব্যক্তি তারাই চাকরি পয়েছেন। তবে কেন সৌমিত্রবাবুকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছে সে ব্যাপারে অবশ্য তিনি কোনো উত্তর দেননি।
আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: https://facebook.com/abopatrika/