নিয়ন্ত্রনে সংক্রমন, স্বস্তির শ্বাস হুগলীর
সাপ্তাহিক লকডাউন ও কনটেন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সংক্রমন অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে, প্রশাসন সুত্রে খবর। গত ২৫ শে জুলাই থেকে ৫ ই আগস্ট অবধি সাপ্তাহিক লকডাউন ও কনটেন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানোয় জেলার চারটি মহকুমায় করোনা প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছে। ২৫ শে জুলাইয়ের আগে আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১৭৪ কিন্তু কনটেন্টমেন্ট জোন জারি করার পর সেই সংখ্যা নেমে দাড়িয়েছে ২৯ এ।
শ্রীরামপুর মহকুমায় পুরসভার মোট ৯ টি ও পঞ্চায়েতের মোট ৩ টি সব মিলিয়ে ১২ টি এলাকাকে কনটেন্টমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছিল। গত ২৫ শে জুলাইয়ের আগে এই এলাকাগুলি মিলে ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সাপ্তাহিক লকডাউন জারির পর তা ১৯ এ নেমে দাড়িয়েছে। অর্থাৎ করোনা সংক্রমনে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে তা ষ্পষ্ট্য।
অন্যদিকে চন্দননগরে সংক্রমন বাড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। তার উপরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়ের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ফলে টনক নড়ে প্রশাসনের। আর এরপরই পুরসভা ও পঞ্চায়েত মিলে ৭ টি এলাকা কনটেন্টমেন্ট জোন জারি হয়। গত জুলাই মাসে আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ৭০। কিন্তু কনটেন্টমেন্ট জোনের সংখ্যা ৭ থেকে ১২ করতেই সেই সংখ্যা নেমে দাড়াল ৭ এ।
চুচুড়া সদর ও আরামবাগকে প্রথমে কন্টেন্টমেন্ট জোনের আওতায় ছিল না। পরে তা কনটেন্টমেন্ট জোন ঘোষনা করলে চুচুড়ায় আক্রান্ত সংখ্যা ১৩ থেকে ৩ এ ও আরামবাগে সংখ্যাটা ৯ থেকে ১ এ নেমে দাড়ায়।
জেলাশাসক রত্নাকর রাও এ প্রসঙ্গে বলেন, ” প্রথম থেকে করোনা মোকাবিলা চেষ্টা করেছে প্রশাসন। কিন্তু পরে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসলেই বাড়ে সংক্রমনের হার। এরপর স্থানীয় স্তরে কনটেন্টমেন্ট জোন ঘোষনা করে মোট আক্রান্ত সংখ্যা কোভিড ড্যাশবোর্ডে রাখতেই দেখা যায় কনটেন্টমেন্ট জোন বাড়ানোয় আক্রান্ত সংখ্যা অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে যা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।”