করোনা রোগীর রিপোর্টে বিভ্রান্তি!
চন্দননগর হাসপাতালে এক পৌঢ়ার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু বিভ্রান্ত রয়েছে তার পরিচয়ে। তার নামের পাশে লেখা রয়েছে পুরুষ, বদলে গিয়েছে বয়সও, আর ঠিকানাও পরিবর্তন।আর এই অবস্থায় তিনি বুঝতেই পারছেন না যে তিনি আদৌ সংক্রামিত কী না আর কোভিডের ওষুধ তিনি চালিয়ে যাবেন কি না তাতেও সন্দেহ আছে।
সুত্রে খবর ওই পৌঢ়া চন্দননগরের কাটাবাজারে থাকেন। চন্দননগর হাসপাতালে তিনি করোনা টেস্ট করতে আসেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসেহ কিন্তু রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে তার চক্ষু চড়কগাছ। রিপোর্টে লেখা তার লিঙ্গ পুরুষ, বয়স ৬১ আর মানকুন্ডুর বাসিন্দা। এরপর এই বিষয়টি প্রশাসন ও পুরসভার দৃষ্টিগোচরে আনেন। প্রশাসন দপ্তরে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্নধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ” রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের করোনা রিপোর্ট ভুলভাল আসছে শুনছি। হাসপাতালে নিশ্চয় কেউ তার ঠিকানা ভুল বলেন না। যারা এই সকল তথ্য নথিভুক্ত করেন তাদের মনোসংযোগের অভাব ঘটছে। খুব শীঘ্রই সরকারি ক্ষেত্রে কড়া নীতি চালু না হলে কর্মীদের গাফিলতির জন্য সাধারন মানুষের দুর্দশা কমবে না। ”
হাসপাতালের সুপারিনচেনডেন্ট জগদীশ মন্ডল বলেন, ” লিঙ্গ পুরুষ লেখাটা হয়ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ভুল ছিল। কিন্তু বয়স ও ঠিকানা উনি নিজেই নথিভুক্ত করেন। এই তরফে হাসপাতাল থেকে কোন বুল হয়নি। ঘটনাটির পর মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু ফোন নম্বর ভুল থাকায় তা সম্ভব হয়নি।