গৃহবন্দী জীবন কাটিয়ে সবে মাত্র একটু স্বস্থির শ্বাস ফেলতে পারলেও এই মহামারীর দীর্ঘনিশ্বাসের কবল থেকে বেরিয়ে ওঠা এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে যত কঠিন মুহুর্তই আসুক না কেন, সকল প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে শিল্পী তার শিল্পের প্রকাশ করবেই। যা আমরা গৃহবন্দি অবস্থায়ও লক্ষ্য করেছি। তবে এখানে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম।
যদিও বিভিন্নরকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে এখানেও। এখানে অরুণাশীষ রায় এবং মধুরা ভট্টাচার্যের একটি গানকে কেন্দ্র সাজিয়ে তোলা হয়েছে একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প।
আপনারা নিশ্চই বলবেন যে সঙ্গীতে সমৃদ্ধ এই বাংলায় একটি নতুন গান বা একটি মিউজিক ভিডিও আম বাত। কিন্তু না!
এ অরুনাশিষ রায় এর লেখা ও সুরে এক বাংলা গজল।
একটু অবাক হচ্ছেন নিশ্চই। আমির খুসরুর হাত ধরে গজল ভারতীয় সঙ্গীতে প্রবেশ করে এবং বাংলায় এই গানের ধারা যার হাত ধরে এসেছে তিনি হলেন বাংলার ভগীরথ কাজি নজরুল ইসলাম। তিনিই প্রথম বাংলায় গজল রচনা করেন এবং সুর দেন।
সেই ধারাকেই বহন করে বাংলার পরিচিত একজন সুরকার ও গায়ক অরুণাশীষ নিজের রচনা করা গজল নিয়ে হাজির আমাদের সকলের সামনে। কিন্তু কিছু নতুনত্ব আনতে চেয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই তার মাথায় আসে ডুয়েট গাওয়ার ব্যাপারটা,
যা হয়ত বাংলা সঙ্গীতের ইতিহাসে প্রথম। গান টি গতকাল মুক্তি পেয়েছে সুচিত্রা মিউজিকের ইয়ুটিউব চ্যানেল থেকে অরুণাশীষ ও মধুরার কন্ঠে। শুধু গান নয় গানের পাশাপাশি আমরা দেখতে পাবো এক মিষ্টি প্রেমের গল্পও।
যেখানে অভিনয় করেছেন অরুণাশীষ ও মধুরা। তাদের দেখা যাবে দুটি ভিন্ন লুকে। বৃদ্ধ বয়েসে দেখা হয়ে মনে পরে যাওয়া পেছনে ফেলে আসা সময়ের কথা। এই নিয়েই গল্প। গানটিকে আরও ফুটিয়ে তুলেছে বুবাই নন্দীর বাশির সুর ও তবলায় জয়দেব নন্দী। আর যাদের কথা না বললেই নয় তারা হলেন মিউজিক প্রোডিউসার দেবর্ষী মুখার্জি ও মেকয়াপ আর্টিস্ট অরিজিৎ মাইতি এবং এই ভিডিওটি করেছেন অভিষেক আগরওয়াল ও দেবাশীষ দে (দ্যা স্টুডিও ওয়ান)
গতকাল সুচিত্রা মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই মানুষের উচ্ছাস চোখে পরার মত। বাংলা চিরকালই নতুনত্ব ভালোবাসে তাই এই গানটিও মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে অতি সহজেই