বাড়িতে মোবাইল ফোন না থাকায় পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছিলো। বিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস-ও করতে পারছিলো না দশম শ্রেণির এই ছাত্রী। হঠ্যাৎ লকডাউন শুরু হওয়ায় বিহারের গ্রাম থেকে ফিরতে পারেননি বাবা-মাও। একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া তার দাদার সঙ্গেই হাওড়ার রাজচন্দ্রপুরে এক ভাড়া বাড়িতে থাকছিল ওই ছাত্রী। ধীরে ধীরে তাঁকে গ্রাস করেছিল অবসাদ। অবশেষে গতকাল সে বেছে নিলো আত্মহত্যার পথ।
শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল অবসাদগ্রস্থ হয়ে আচমকা আত্মঘাতী হল ওই ছাত্রী। বাড়ির জানলার রড থেকে এদিন তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিশ্চিন্দা থানার এলাকায় ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। যদিও এরপর ফের প্রশ্ন উঠছে, বিদ্যালয় গুলির দ্বারা অনলাইন ক্লাসের সুবিধায় বৈষম্যের বিষয়টি নিয়ে।
করোনা সংক্রমন এড়াতে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আগামী বেশ কয়েক মাস স্কুল খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ নিশাঙ্ক পোখরিওয়াল। এই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে অধিকাংশ স্কু-লই অনলাইন ক্লাসের পথেই হেঁটেছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই পড়ুয়াদের আত্মহত্যার খবর মিলছে শুধুমাত্র উন্নত প্রযুক্তি যুক্ত স্মার্টফোন না থাকার কারণে অনলাইন ক্লাসে অংশ না নিতে পারার কারণে।
কয়েকদিন আগেই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা-এর অর্জুনপুরে। ১৭ বছর বয়সী আত্মঘাতী ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নাম মহিন খান। ছাত্রের বাবা মুজিবর খান একজন ঠিকাদার। পরিবার সূত্রে খবর, তার দুই সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে মহিন লকডাউনের মধ্যেই বাবার কাছে নতুন স্মার্টফোন কিনে দিতে বলে অনলাইন ক্লাসে সামিল হওয়ার জন্য। কিন্তু ব্যবসার বেহাল অবস্থার কারণে কিনে দিতে পারেননি মুজিবর। এরপরই অভিমানে আত্মঘাতী হয় সে।